Kangana-Javed's Case Update: আইনি জটিলতা বাড়ল জাভেদ আখতারের! কঙ্গনার অভিযোগের ভিত্তিতে সমন দিয়ে ডেকে পাঠাল আদালত

২০১৬ সালে কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে তাঁর সহ অভিনেতা হৃতিক রোশনের ঝামেলা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। এরপর ২০২০ সালে একে-অপরের নামে মামলা জাভেদ আর কঙ্গনার। আদালত এবার অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে সমন পাঠাল বর্ষীয়ান গীতিকারকে।

কঙ্গনা রানাউতের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জাভেদ আখতারকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং ৫০৯ (একজন মহিলার শালীনতার অবমাননা) ধারায় মামলা করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে আদালত তাঁকে ৫ অগাস্টে হাজির হওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছে। অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন এবং একজন মহিলার শালীনতার অবমাননা করার জন্য জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে কেস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। 

২০২০ সালে 'আপ কি আদালত' অনুষ্ঠানের কঙ্গনা জানিয়েছিলেন যে, জাভেদ আখতার তাঁকে বলেছিলেন, তিনি যদি হৃতিকের কাছে ক্ষমা না চান তবে রোশানরা তাঁকে জেলে পাঠাবে তখন তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। কঙ্গনার সেই কথার ভিত্তিতে, আদালতে মানহানির মামলা করেন জাভেদ। এরপর গীতিকারের নামে পালটা মামলা করেন কঙ্গনা। 

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আন্ধেরির আদালত) আরএম শেখ ২৪ জুলাই জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে সমন জারি করে তাঁকে ৫ আগস্ট আদালতে হাজির হতে বলে। সমন জারি করার সময় আদালত জানিয়েছে, গীতিকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির কোনও মামলা করা হয়নি। তবে কঙ্গনার আনা অভিযোগের যাচাইকরণ ও তার (কঙ্গনার) বোন রঙ্গোলি চন্দেলের বক্তব্যের ভিত্তিতে আদালত আইপিসি-র ৫০৬ ও ৫০৯ ধারায় কেস এগিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে তাঁর সহ অভিনেতা হৃতিক রোশনের অনেক বড় ঝামেলা হয়েছিল ‘প্রেম-সম্পর্ক’কে ঘিরে। ঝগড়া এমন একটা পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, সেখান থেকে তৈরি হয়েছিল আইনি জটিলতা। ফাঁস হয়েছিল কিছু ব্যক্তিগত চ্যাটিংও। ঠিক সেই সময়েই ডা. রমেশ আগরওয়ালের পরামর্শে কঙ্গনা রানাওয়াতকে নিজের বাড়িতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জাভেদ।

কঙ্গনার দাবি সেই সময় জাভেদ আখতার তাঁকে এবং তার দিদি রঙ্গোলি চন্দেলকে বিদ্বেষমূলক উদ্দেশে বাড়িতে ডেকেছিলেন। তাঁদের ভয় দেখিয়েছিলেন ও হুমকি দিয়েছিলেন। জাভেদ নাকি সেই সময় বলেছিলেন, ‘যদি আপনি হৃতিক রোশনের কাছে ক্ষমা না চান, তবে আপনাকে আত্মহত্যা করতে হবে। কারণ রোশন পরিবার আপনাকে জেলে পাঠাবে। ওঁদের কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। তাঁরা এটাও জানেন যে, মামলাটি সম্পূর্ণ তাদেরই হাতেই রয়েছে।’