এ যেন বাংলা ধারাবাহিক, এক পুরুষকে নিয়ে দুই নারীর ঝামেলার অন্ত নেই! পরীমণি এবং বিদ্যা সিনহা মীমের ঝগড়া থামার নাম নেই, নেপথ্যে রয়েছেন পরীমণির স্বামী শরিফুল রাজ। তবে বাংলা ধারাবাহিকে যতই প্রেমের ছোঁয়া থাক, এক্ষেত্রে কিন্তু বিদ্যার সঙ্গে রাজের স্রেফ বন্ধুত্বই ছিল। তাঁদের এই বন্ধুত্বকে মোটেই ভালো চোখে দেখেননি পরীমণি। এই বিষয় নিয়ে তিনি বারবার ফেসবুকে লিখেছেন। প্রথমদিকে বিদ্যা সিনহা মীম উত্তর দিলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে চাইলেও শেষে বন্ধ করে দেন। এবার এই ঝামেলার পাকাপাকি ইতি টানতে চান। আর তার জন্য কী করলেন বিদ্যা? দেখুন।
জানা গিয়েছে বিদ্যা সিনহা মীম নাকি আর শরিফুল রাজের সঙ্গে কাজ করতে চান না। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আর সেই কারণে অভিনেত্রী সম্প্রতি ‘পথে দেখা হল’ ছবিটির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই ছবির পরিচালনা করছেন রায়হান জুয়েল। যদিও গত এক বছর ধরে তিনি এই ছবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। আর এই ছবিতেই বিদ্যার বিপরীতে অভিনয় করতেন শরিফুল রাজ। আর সেই কারণেই বিদ্যা পরিচালককে সম্প্রতি জানিয়েছেন তিনি রাজের সঙ্গে কাজ করতে চান না।
অভিনেত্রী একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ' আমার এবং রাজের আগের দুটি ছবি বেশ সফল হয়েছে বক্স অফিসে। তিনি অভিনেতা হিসেবে ভীষণ ভালো। কিন্তু আমি আর রাজের সঙ্গে কোনও ছবিতে কাজ করতে চাই না। আর সেই কথা আমি পরিচালককে জানিয়ে দিয়েছি। জুয়েল ভাইকে জানিয়েছি সব।'
পরীমণি আর বিদ্যা সিনহা মীমের এই ঝামেলা যেন একেবারে তিল থেকে তাল হওয়ার উদাহরণ। সামান্য জিনিস নিয়ে কত কীই না ঘটে গেল! পরীমণি বিদ্যার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কথা লেখেনও। চুপ করে বসে থাকেননি বিদ্যাও। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন এই আচরণ কোনও ভদ্র মানুষের হতে পারে না।
কিন্তু আসলে বিষয়টা ঠিক কী হয়েছিল?
বিদ্যা এবং রাজকে একত্রে পরাণ এবং দামাল ছবিতে দেখা যায়। সেখানে তাঁদের অভিনয় বা রসায়ন দুই দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। তাঁদের জুটি যে সফল এই ছবি দুটি বুঝিয়ে দেয়। আর সেই থেকেই পরীমণি নাকি তাঁদের মধ্যে একটা 'সুসম্পর্ক' দেখতে পেয়েছেন। ব্যাস সেটাই জমে সন্দেহ। আর সেখান থেকেই ক্ষোভ। আর সব শেষে ফেসবুকে সেই নিয়ে পোস্ট।
একদিকে যখন পরীমণি বিদ্যার দিকে পরকীয়ার আঙুল তুলছেন তখন অন্যদিকে বিদ্যা তাঁর স্বামীর সঙ্গে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা কত আনন্দে আছেন। সকলের মতে এটা পরীমণিকে চুপ করানোর জন্যই করেছিলেন।