বিতর্ক উস্কে কৌশানীর পাশে বনি,'ভিডিয়ো এডিট করে ভাইরাল করা BJP'কে মানায় না'

পদ্ম শিবিরের বনি সেনগুপ্ত দল নয়, বিতর্কিত ভিডিয়ো নিয়ে পাশে দাঁড়ালেন প্রেমিকা কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের।

সুজিত মণ্ডলের ‘তুমি আসবে বলেই’ ছবিতে জুটি বাঁধতে চলেছেন বনি-কৌশানি

বনি-কৌশানির প্রেম সম্পর্কের কথা কারুর অজানা নয়। প্রকাশ্যেই একে অপরকে ভালোবাসার কথা বরাবর স্বীকার করে এসেছে এই জুটি। একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ভোটের আগে বনির বান্ধবীর পাশাপাশি মা, পিয়া সেনগুপ্তও ঘাসফুলে যোগদেন। তবে প্রার্থী তালিকায় কৌশানীর নাম থাকবার পরেও বনির আচমকা বিজেপিতে যোগদান সকলকে চমকে দিয়েছিল। ফের একবার চমকে দিলেন পদ্ম শিবিরের এই নয়া সদস্য। 

তৃণমূল প্রার্থী কৌশানীর বিতর্কিত ভিডিয়ো প্রসঙ্গে দল নয়, প্রেমিকাকে সমর্থন জানালেন বনি। বনির টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, 'একটা দল বিরোধী শিবিরের দুর্বলতা খোঁজবার চেষ্টা করবে নিশ্চয়। কিন্তু বিজেপি যেভাবে কৌশানীর ভিডিয়োটা এডিট করে ছড়িয়েছে, সেটা আমার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ হয়নি। এখানেই থেমে থাকেননি বনি। তিনি আরও বলেন,আমি ওকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। এইভাবেই ও কথা বলে। কৌশানী ভীষণ ঠোঁটকাটা। হয়ত ওর কথা বলবার ধরণ নির্বাচনী প্রচারের জন্য সঠিক নয়, কিন্তু ও এতটাও বোকা নয় যে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার মতো কাজ করবে। ওই ভিডিয়োটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু অংশ কেটে নিয়ে ভাইরাল করা পরিণতমনস্কতা নয়। এটা বিজেপি-কে মানায় না। আমি সেটাকে সমর্থন করি না’। 

দু-দিন আগেই বঙ্গ বিজেপির সহ সভাপতি রীতেশ তিওয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন,  সেখানে নায়িকাকে এক বিজেপি সমর্থকের উদ্দেশে বলতে শোনা গিয়েছে ‘ঘরে সবার মা–বোন আছে, ভোটটা ভেবে দিবি’। এই ভিডিয়ো নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের ভোট মানচিত্রে সবচেয়ে যুযধান দুই পক্ষের মধ্যে।কৌশানী সাফাই দিয়ে বলেছেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যখ্যা করা হয়েছে।কৌশানীর কথায়, ‘‌বিজেপি শাসিত বিহার, উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের উপর যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে সেটা দেখেই এই মন্তব্য করেছি।’‌

শনিবার সন্ধ্যায়, নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ভিডিয়ো প্রমাণ দেন কৌশানী। ২২ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) কৌশানীকে বলতে শোনা যায়, 'বল, দেখো, এই ইয়ং ছেলেগুলো, এদিকে আয় বাবা বিজেপি। ঘরে সবার কিন্তু মা-বোন আছে। ভোটটা ভেবে দিবি। মা-বোনেদের সুরক্ষার কথা ভেবে দিবি। দিদি না থাকলে মা-বোনেরা সুরক্ষিত নয় বাংলায়।'