বাঘা যতীনের প্রচারে কোনও কিছুকেই বাকি রাখছেন দেব। স্কুল, কলেজে গিয়ে গিয়ে যেমন তিনি জনসংযোগ বাড়াচ্ছেন, প্রচার করছেন, অভিনব কায়দায় ছবির গান রিলিজ করেছেন তেমনই এবার দাদাগিরির মঞ্চে এসে সেই ছবির প্রচার করলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তবে গোটা টিম। এদিন দাদা অর্থাৎ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দাদাগিরি করতে দেখা যায় দেব, সৃজা দত্ত, ইমন চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম, আরজে নীল ওরফে নীলায়ন চট্টোপাধ্যায়, এবং স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিককে।
দাদাগিরির মঞ্চে সৌরভকে প্রশ্ন দেবের
এদিন খেলার মাঝে সৌরভ কথায় কথায় অনেক কিছুই জানান, আবার মজাও করেন। তবে সৌরভ একাই যে কেবল প্রশ্ন করেছেন সেটা নয়। তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন দেবও। দেব তাঁকে জিজ্ঞেস করেছেন যে যদি সৌরভ দেশের প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হন তাহলে তিনি কোন বদল আনবেন? উত্তর শুনেই সৌরভ বলেন, 'করে দাও, এই মনোভাব পাল্টাতে হবে। সেটাই করব।' কিন্তু না, কেবল এটুকুই নয়। এরপরই তিনি আসল বোমা ফাটান। বলেন, 'আমার বাড়িতে যে কেউ আসতে পারেন। কিন্তু রাজনীতি জয়েন করব না। আমার কোনও আগ্রহ নেই রাজনীতিতে।' এটা শুনেই দেব সহ সকলে হেসে হাততালি দিয়ে ওঠেন। প্রসঙ্গত মাঝে কয়েকদিন গুজব রটে যায় যে সৌরভ নাকি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। তাঁর বাড়িতে রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। কিন্তু সেটা যে ভুল, সেটা এদিন তিনি স্পষ্ট করে দিলেন।
আরও পড়ুন: স্ক্রিপ্ট পেলেও ছবিতে না দেবের! জিতের সঙ্গে কাজ করতে কোথায় আটকাচ্ছে 'বাঘা যতীন'-এর?
আরও পড়ুন: দেব ছাড়া বাংলা ছবিকে কেউ ব্যবসা দিচ্ছে না? বিতর্কের উত্তরে কী বললেন 'বাঘা যতীন'?
দেবকে দাদার গুগলি
তবে দেব যে একাই সৌরভকে বিপাকে ফেলতে চেয়েছেন এমনটা একেবারে নয়। দাদাও দেবকে বড়সড় গুগলি দিয়েছেন এদিন। শনিবারের দাদাগিরির পর্বে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে দেব এবং সৃজার মধ্যে। যদিও শেষ পর্যন্ত পর্দার ইন্দুবালাকে হারিয়ে বাঘা যতীনই জয়ী হন। এদিন উপহার তুলে দিতে দিতে দেবের সঙ্গে মশকরা শুরু করেন সৌরভ। বলেন, 'আজকাল দেব রান্নাঘরে অনেকটা সময় কাটাচ্ছে। রান্না করছে ভীষণ।' দাদার কথা শুনে হতবাক হয়ে যান তিনি। তারপর আরও বড় গুগলি দিয়ে দাদা বলেন, 'আসলে দেব যখন রান্না করে বেরিয়ে যায় তখনও ম্যাডাম (রুক্মিণী) পড়ে পড়ে ঘুমান।' এটা শুনে সকলেই হাসিতে ফেটে পড়েন।
শনিবারের দাদাগিরির মঞ্চে রূপম, ইমন এবং স্নিগ্ধজিৎ তিনজনই গান গেয়ে শোনান। এছাড়া দেব, সৃজা এবং ইমনের সঙ্গে ক্যাটওয়াক করেন সৌরভ। সকলের সামনে দেব এই পর্বে আরও একবার মনে করিয়ে দেন যে বাঘা যতীনের স্বপ্ন ছিল যে তিনি স্বাধীন ভারত দেখবেন। আর তাঁর স্বপ্ন স্বাধীন ভারতকে বাঘা যতীনের গল্প দেখানো। তাই আগামী ১৯ অক্টোবর পুজোর ঠিক আগে এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। সবটা মিলিয়েই মহালয়ার এই বিশেষ পর্ব যে জমে উঠেছিল এদিন সেটা বলাই যায়।