২০২৩-এর দুর্গাপুজোয় বাংলার বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছে মোট চারটি বাংলা ছবি। প্রসেনজিৎ-যিশু-অনির্বাণের ‘দশম অবতার’, দেবের ‘বাঘাযতীন’, আবির-মিমির ‘রক্তবীজ’ এবং কোয়েলের ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’। প্রথম সপ্তাহের রিপোর্ট কার্ড বলছে আয়ের নিরিখে এগিয়ে 'ইন্ডাস্ট্রির ফার্স্ট বয়' সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের দশম অবতার। তিনি যদিও শহর ছেড়ে অনেক দূরে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে কবজি ডুবিয়ে অ্যালিগেটারের মাংস খেতে ব্যস্ত, দর্শক কিন্তু তাঁর ছবি দেখতেই সিনেমা হলে ভিড় জমাচ্ছেন।
পুজোর লড়াইয়ে শুরু থেকেই খানিকটা এগিয়ে ছিল প্রবীর-পোদ্দার জুটি। অ্যাডভান্স বুকিং ইঙ্গিত দিয়েছিল দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে দশম অবতার ঘিরে। সেই প্রতিফলনই বক্স অফিসে। প্রথম ৬ দিনে ৪.১৫ কোটির ব্যবসা করেছিল এসভিএফ প্রযোজিত এই ছবি। সাত নম্বর দিনে দশম অবতারের ঝুলিত এল আরও ৩৫ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে সাত দিনে এই ছবির কালেকশন ৪.৫০ কোটি টাকা, জানিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ।
বৃহস্পতিবার রাতে এসভিএফ-এর তরফে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানানো হয়, ‘দশে - দশ দশম অবতার! সব রেকর্ড ব্রেক করে, দশম অবতার ৭ দিনে, ৪.৫ কোটি...’। একাদশী পর্যন্ত বাংলার বক্স অফিসে বাজিমাত প্রবীর-পোদ্দার জুটির। ২২শে শ্রাবণের প্রিকুয়েল এই ছবি। ছবির গানগুলো শুরু থেকেই ফিরছে দর্শকদের মুখে মুখে। দীর্ঘদিন পর জুটিতে সৃজিত-প্রসেনজিৎ, ৬ বছর পর সৃজিতের ছবিতে জয়া, অন্যদিকে অনির্বাণ আর যিশুর উপস্থিতি, সব মিলিয়ে দশম অবতার-এর দর্শক টানার এলিমেন্ট রয়েছে বিস্তর।
পুজোর লড়াইয়ে সৃজিতের দশম অবতারের ঠিক পরেই রয়েছে দেবের 'বাঘা যতীন'। স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্য়ায়ের বীরগাথা এই ছবিতে তুলে ধরেছেন অরুণ রায়। শুরুর ৭ দিন ভালো ব্যবসা করেছে এই ছবি। 'বাঘা যতীন'-এর ৭ দিনের আয় সাড়ে তিন কোটির আশেপাশে। প্রযোজনা সংস্থা দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্সের এই ছবির বাজেট ৫ কোটি।
অপর দুই ছবির হালহাকিকত কী? শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটি ফ্যামিলি ড্রামা তৈরিতে এক্সপার্ট, তবে ‘রক্তবীজ’-এ একটু হটকে প্রচেষ্টা করেছেন পরিচালক জুটি। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ নিয়ে তৈরি এই ছবির প্রথম ৬ দিনে আয় করেছে ২.৩৭ কোটি টাকা। পুজোর লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে কোয়েল মল্লিকের ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’। চার বছর পর মহিলা গোয়েন্দা হিসাবে পর্দায় ফিরেছেন কোয়েল, এই ছবি ৬ দিনে বক্স অফিসে আয় করেছে মাত্র ১.১০ কোটি টাকা।