জি বাংলার গেম শো শো ‘দিদি নং ১’-এ প্রথমবার হাজির হয়েছিলেন টেলিভিশনের রানিমা, দিতিপ্রিয়া রায়। এদিন মেয়ে, নাতি, নাতজামাইকে নিয়ে মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন করুণাময়ী রাণী রাসমণি। নিজের সম্পর্কে অজানা গল্প দর্শকদের সামনে খোলসা করলেন ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’র দিতিপ্রিয়া রায়। শুক্রবার অভিনেত্রী তাঁর মা, সুদীপ্তা রাযের সঙ্গে রিয়্যালিটি শো’তে খেলতে আসেন। সেখানেই ছোটবেলার গল্প নিজের মুখে বলতে শোনা যায় দিতিপ্রিয়াকে।
ছোটবেলা থেকেই নাকি হাতে পায়ে লক্ষ্মী ছিলেন তিনি। নিজের মুখে সেই কথা স্বীকারও করেন নেন। একবার নাকি তাঁর মা বিউটি পার্লার গিয়েছিলেন আই ভ্রু করতে। ফিরে এসে দেখেন, মেয়ে নিজের চোখের পলক কেটে ফেলেছে। সাফাইতে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘মেয়েরা আই ভ্রু করতে পারলে, চোখের পলক কেন কাটতে পারবে না’! ছোটবেলা থেকেই যে ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’ লক্ষ্মী রানিমা এত দুরন্ত তা বোঝার উপায় আছে!
পাশাপাশি ধারাবাহিক ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’র সেটের পিছনের গল্প বলতে শোনা যায় তাঁকে। কী ভাবে এই চরিত্রে তাঁর পথ চলা শুরু? অভিনেত্রী জানান, দশম শ্রেনিতে পড়ার সময় জি থেকে তাঁর সুযোগ আসে ধারাবাহিকে রাসমণির ছোট বেলার চরিত্রে অভিনয় করার। জানানো হয়েছিল রাসমণির ছোটবেলা থেকে বিয়ের আগে পর্যন্ত দিতিপ্রিয়াকে দেখানো হবে। তারপর বদলে দেওয়া হবে তাঁকে। তবে সেটা তিন মাস, কী ছয় মাসের ব্যাপার। এরপর ধীরে ধীরে দর্শকদের চাহিদা এবং সকলের ভালোবাসায় সাড়ে তিন বছর পার করে ফেলেছে এই ধারাবাহিক।
অভিনেত্রী জানান, ধারাবাহিকের শ্যুটিং চলাকালীনই তিনি দশম এবং দ্বাদশের বোর্ডের পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এমনকি সেটে কীভাবে তিনি ধারাবাহিকের ভাষা বলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন সেও জানান। প্রথম দুমাস সকলের ডায়লগ বলতে নাকি সমস্যা হত। তাঁদের সকলকে ‘নেবু-নুচি-নঙ্কা’ এই তিনটি শব্দ মাথায় রেখে ডায়লগ বলতে হত। ধীরে ধীরে সকলে ধারাবাহিকের ভাষায় ধাতস্ত হয়ে পড়েন।
তবে অভিনেত্রীর মা কিন্তু সবার সামনে খোলসা করেন দিতিপ্রিয়া ঘরের কাজে একেবারেই পটু নয়। দেশলাই নাকি জ্বালাতে পারেননা। রান্না করতে পারেন না। তবে অভিনেত্রীর দাবি, লকডাউনে তিনি ঘর মুছেছেন। যদিও অভিনেত্রীর মায়ের কথায় ঘর মুছতে গিয়ে জল ফেলেছেন তিনি অনেকবার।
ভবিষ্যতের কথা নিয়ে সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় দিতিপ্রিয়াকে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছেন, অভিনেত্রী হতে চান আগামী দিনে। অভিনয়কে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান। সঙ্গে পড়াশুনোও চালিয়ে যেতে চান। পড়াশুনোকে তিনি প্রচণ্ড ভালবাসেন বলেই জানান দিতিপ্রিয়া রায়।