পরিবারের পরম্পরা অটুট রেখেছেন সানির দুই পুত্র। বড় ছেলে করণের পর ছোটছেলে রাজবীরও অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। গদর ২-এর বাঁধভাঙা সাফল্যে জয়ের চওড়া হাসি সানির মুখে, এর মাঝেই ছেলের বলিউড ডেবিউ। নিঃসন্দেহে গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে পর্দার তারা সিং-এর। রাজশ্রী প্রোডাকশনের ‘দোনো’র সঙ্গে বলিউডে স্বপ্ন-উড়ান রাজবীরের, সোমবার সেই ঝলক দেখেছো গোটা বিশ্ব। সামনে এসেছে ছবির ট্রেলার। সানি-পুত্রে মুগ্ধ অনেকেই।
কিন্তু ছোট ছেলে অভিনয়ের জগতে আসুক, এক্কেবারে চাননি সানি দেওল। বাবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন রাজবীর। সোমবার মুম্বইয়ে ছবির সাংবাদিক বৈঠকে এই স্টার কিড মুখ খুললেন তাঁর কেরিয়ারের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে। রাজবীবের কথায়, ‘আমার বাবা-মা চাননি আমি অভিনেতা হই। তাঁরা চেয়েছিল আমি পড়াশোনায় মন দিই, জীবনে অন্য কিছু করে দেখাই। কারণ এই ইন্ডাস্ট্রিতে জীবন খুব অনিশ্চিত। এক মুহূর্ত তুমি খুশি আছো, আবার পর মুহূর্তে জীবন দুঃর্বিসহ হয়ে উঠবে। কাজ পেতে গিয়ে মুশকিলে পড়বে। ভেবে দেখুন, বাবা ২২ বছর পর সাফল্যের মুখ দেখেছে। তাই আমার মানসিক পরিস্থিতি কী হবে সেই ভেবে ওঁনারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। কিন্তু আমি অভিনয়কে ভালোবেসে ফেলি। আজও আমার বাবা-মা চান আমি অন্য কিছু করি, অভিনয় নয়’।
প্রসঙ্গত, ‘পল পল দিল কে পাস’ ছবিতে বড় ছেলে করণ দেওলকে লঞ্চ করেছেন সানি দেওল, কিন্তু সেই ছবি সুপারফ্লপ। এবার ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ হচ্ছে নায়কের ছোট ছেলে রাজবীরের। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে, ছোট ছেলেকে নিজে লঞ্চ করছেন না সানি। এই তারকা পুত্রর অভিনয় সফর শুরু হচ্ছে ‘রাজশ্রী প্রোডাকশন’-এর হাত ধরে। সহ-প্রযোজক আম্বানিদের জিও স্টুডিও।
আদ্যোপান্ত প্রেমের ছবি হতে চলেছে ‘দোনো’। ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর প্রেক্ষাপটে সাজানো এই গল্প। ছবিতে রাজবীরের নায়িকা পালমাও। তিনিও স্টারকিড, পুনম ধিলোনের সুন্দরী কন্যে এবার বলিউডে। কনের পুরুষ বন্ধু দেব এবং বরের বান্ধবী মেঘনার আলাপ জমবে বিয়ের আসরে। পরিচালনায় সূরজ বরজাতিয়া পুত্র অবনীশ। তাঁরও প্রথম ছবি এটি। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার যন্ত্রণা, সেখান থেকে নতুন প্রেমের সফর। পূর্ণতা পাবে দেব-মেঘনার এই কাহানি? সেই নিয়েই এগোবে এই ছবি।
ছেলের অভিনয়ে আসা নিয়ে আপত্তি থাকলেও ‘দোনো’-তে মুগ্ধ সানি। সোমবার ছোটছেলের ছবির ট্রেলার লঞ্চের আসরে সামিল হন তারকা। সেখানে তিনি জানান, ‘আমি ছবিটা দেখেছি, এটা মর্ডান লাভস্টোরি। আমরা একটা ছবি তৈরি করেছিলাম সোচা না থা, সেই ধাঁচের। তবে তার চেয়ে অনেক ভালো’।