সিআইডি দেখেননি এমন ভারতীয় নেহাতই কম। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই ধারাবাহিক বহু ভারতীয়র মনে, জীবনে জায়গা করে নিয়েছিল। এই ধারাবাহিকের চরিত্ররা হয়ে উঠেছিল যেন বাড়ির লোক। এঁদেরই অন্যতম ছিলেন ইন্সপেক্টর বিবেক। তাঁর প্রকৃত নামও কিন্তু বিবেক, বিবেক মাশরু। সম্প্রতি তিনি ভাইরাল হয়েছেন। অভিনয় ছেড়ে তিনি বর্তমানে অধ্যাপনাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তিনি এখন। কিন্তু কেন এই পরিবর্তন।
বিবেক সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান 'আমার স্ত্রী একজন ইংলিশের শিক্ষিকা। ওই আমায় জানায় যে আমার ছবি নাকি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আমি কখনও ভাবিনি আমার সঙ্গেও এটা হতে পারে। আমি ভীষণ আনন্দ পেয়েছি সবার এই ভালোবাসা পেয়ে।' প্রসঙ্গত তিনি ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক।
তিনি আরও বলেন, 'আমি গোটা ডিপার্টমেন্টের কাজকর্ম দেখি। নির্দেশ দিই। এটা একটা লিডারশিপ পজিশন। জুলাইয়ে যদিও সেটাও বদলে যেতে চলেছে। তখন নতুন স্কুল লঞ্চ করার দায়িত্বে থাকব আমি।'
প্রসঙ্গত ২০১২ সালের জুন মাসে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেন। তারপর ১১ বছর হয়ে গিয়েছে। অভিনয়ের কেরিয়ারের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিবেক বলেন, 'আমি কিশোর নমিতের থেকে ট্রেনিং নিয়েছিলাম। তখন সিআইডির একজন অফিসারের চরিত্রের জন্য ছেলে খোঁজা হচ্ছিল। গোটা ভারত জুড়ে একটা ট্যালেন্ট হান্ট হয় আর তাতে আমি সিলেক্ট হই। আমার দিদা দাদু চেয়েছিলেন যাতে আমি অভিনয় করি। ওরা এই শোয়ের খুব ভক্ত ছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় দাদু আমায় অভিনয় করতে দেখে যেতে পারেননি।'
মাত্র ৩ মাসের জন্য মাশরুকে নেওয়া হয় সিআইডিতে। যদিও পরবর্তীকালে সেই চুক্তি বাড়তে বাড়তে ছয় বছর হয়ে যায়। দারুণ পরিচিত পায় তাঁর চরিত্রটা। কিন্তু একটা সময়ের পর তিনি আর এই পেশায় থাকতে চাননি। অভিনয় ছেড়ে গোটা হিমালয় জুড়ে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। তারপর ফিরে এসে সিঙ্গাপুর থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করে একটি এনজিওর সঙ্গে যুক্ত হন। বর্তমানে তিনি ডেটা সায়েন্স এবং বিজনেস অ্যানালিটিক্সে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমার অধিকারী।