আজ ‘প্রিন্স অফ ক্যালক্যাটা’র ৫০তম জন্মদিন। লন্ডনে সপরিবারে এই বিশেষ দিনটা সেলিব্রেট করছেন মহারাজ। স্ত্রী, কন্যা আর কাছের বন্ধুদের নিয়ে লন্ডনের রাস্তা থেকে হোটেল রুমে উদ্দাম নেচে বার্থ ডে সেলিব্রেট করতে দেখা গিয়েছে মহারাজকে। কখনও ‘ওম শান্তি ওম’-এ তালে ঠুমকা নাচছেন, কখনও আবার ‘লন্ডন ঠুমকদা’র তালে তালে পা মেলাচ্ছেন। আজ সোশ্যাল মিডিয়ার সর্বত্র যেন সৌরভ-ময়।
সৌরভের জীবনজুড়ে ক্রিকেটের পাশাপাশি যিনি সারাক্ষণ রয়েছে তিনি ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। মাঠের লড়াকু এই ক্রিকেটার বাস্তব জীবনে আদ্যোপান্ত প্রেমিক মানুষ ছিলেন তা বেশ স্পষ্ট। ‘ম্যাডাম’ (ডোনাকে প্রকাশ্যে এই বলেই সম্বোধন করেন সৌরভ) অন্তপ্রাণ তিনি। সিনেমার গল্প হার মানাবে সৌরভ-ডোনার প্রেম কাহিনিকে। মহারাজের কিশোর বয়সের প্রেম ডোনা, পরস্পরের প্রতিবেশী ছিলেন তাঁরা তবে বেহালার গাঙ্গুলি আর রায় পরিবারের মধ্যেকার সম্পর্ক একেবারেই মধুর ছিল না। পরিবারের কাছে লুকিয়ে ১৯৯৬ সালের অগস্ট মাসেই আইনি বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন দুজনে। এক বছর পর সবটা জানাজানি হতে সামাজিক রীতি মেনে চারহাত এক হয় দুজনের। কিন্তু বিয়ের পর হানিমুনটা সারা হয়নি সৌরভ-ডোনার। কেন জানেন?
আসলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ক্যারিবিয়ান দ্বীপে উড়ে গিয়েছিলেন সদ্যবিবাহিত সৌরভ। সেই সফরে নতুন বউ-কেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। একবার ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে এই প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, ‘যে দিন বিয়ে হয় পরদিন আমি ম্যাচ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাই। সালটা ১৯৯৭। তখনও ডোনাদির মাথায় সিঁদুর ওঠেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সবাই দেখছে! কে এল মাথাভর্তি লাল সিঁদুর। প্রথম ছবিটা আমার মনে আছে। আমরা জামাইকার হোটেলে ঢুকলাম। লিফটের মধ্যে দেখি একসঙ্গে অ্যামব্রোস,ওয়ালশ, বিশপ-পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। লাইফটাইম ফ্রেম, ওকে বললাম গিয়ে একটা ছবি তুলতে। ডোনা পুরো অ্যামব্রোসের পেটের কাছে ছিল। ও বলল এই ছবি আমি নেব না। একদম মানা করে দিল’।
সৌরভ খানিকটা থেকে বলেন, 'ওটা দু-মাসের সফর ছিল। তাই হানিমুন তখন হয়নি, তবে মে মাসে আমরা গিয়েছিলাম সুইৎজারল্য়ান্ডে। ওখানেই হল হানিমুন'।