ছোটবেলা থেকে কৈশোরে পৌঁছনো পর্যন্ত একটা বড় সময় জুড়ে রিকশা এবং ট্রেনে করেই যাতায়াত করতে হত এষা দেওলকে। অথচ বলিউডের দুই কিংবদন্তি তারকা ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর বড় মেয়ে তিনি। যদিও এর জন্য তাঁর এক ফোঁটাও আফসোস নেই। বরং বলি-অভিনেত্রী নিজের মা এবং বাবার উদ্দেশে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর ছোটবেলাটাকে আর পাঁচজন শিশুর মত সাধারণ রাখার জন্য।
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এষা জানিয়েছেন তাঁর ছোটবেলায় বলিপাড়ায় মোটেই কোনও পাপারাৎজি নামক বস্তু ছিল না। তাই আজকের মত তাঁর এইসব ব্যাপার নিয়ে মোটেই হইচই হয়নি। বলি-অভিনেত্রী বলেন, 'হতে পারে আমার মা-বাবা দু'জনেই সুপারস্টার কিন্তু আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমার ছোটবেলাটাকে তাঁরা 'নরম্যাল' রেখেছিলেন। শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করা, নিয়মনুবর্তীতার গুণাগুণ শেখানো এবং গুরুজনদের সম্মান করা এসব কিছুই ওঁরা নিজেদের হাতে আমাকে শিখিয়েছিলেন। আর পাঁচজন বাবা-মায়ের মতোই।
এমনকি যে স্কুলে পড়াশোনা করতাম সেখানে রীতিমতো নির্দেশ দেওয়া ছিল আমাকেও যেন আর পাঁচজন ছাত্র-ছাত্রীর মতোই দেখা হয়। সেইসময় খুব খেলাধুলো করতাম। তাই স্কুল থেকে বিভিন্ন জায়গায় টুর্নামেন্ট খেলার জন্য যেতাম। সেইসময় বন্ধু, বান্ধবীদের সঙ্গে ট্রেনে চেপেই দিব্যি ঘোরাফেরা করতাম। ছোটবেলা থেকে আমাকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা সবাই জানেন আমি কতটা সাধারণ'।
বলি-অভিনেত্রী আরও জানান সেই সময়ে সিনেমা পারে পাপারাৎজি ব্যাপারটা না থাকার দরুণ যাঁরা মনের আনন্দে ছোট্ট ছোট্ট ব্যাপারগুলোও স্বাধীনভাবে করতে পারতেন। বড়জোর এটা হাত যে মানুষজন তাঁর দিকে আঙ্গুল তুলে অন্যদেরকে বলত যে সে ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনীর সন্তান। এইটুকুই!
যদিও পাপারাৎজিদের বিষয়ে একটি খারাপ কিংবা অপমানজনক কোনও শব্দ ব্যবহার করেননি তিনি। সহজভাবে জানিয়েছেন পাপারাৎজিরা তাঁদের কাজ করে। আবার এটাও ঠিক আজ পর্যন্ত ওঁরা কোনওদিন আমাকে কিংবা তাঁর পরিবারের কাউকে কোনও অসম্মান করেননি। বক্তব্যের শেষে এবার সংযোজন, 'আমি ভীষণভাবে চাই আমার দুই সন্তান যেন আর পাঁচটি বাঁচার মতোই সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারে। তাই তো ওদেরকে এসবের থেকে অনেক দূরে রাখি'।