একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে টিকিট পেয়েছিলেন কবীর সুমন। ভোটে জিতে হয়েছিলেন সাংসদ। এখন কবীর সুমনের ধ্যানজ্ঞান সবই খেয়াল সঙ্গীত। সম্প্রতি তিনি ৭৫ বছরে পা রেখেছেন সদ্যই। এমন সময় তিনি তবে সঙ্গে মমতার সম্পর্ক নিয়ে কী বললেন গায়ক?
মমতার সঙ্গে সম্পর্ক কেমন কবীর সুমনের?
সম্প্রতি সংবাদ প্রতিদিনের মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেখানেই তিনি জানালেন তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা। এদিন কবীর সুমন জানান, 'আমাদের বাংলায় খেয়াল নিয়ে বহু কাজ হয়েছে। কাজ হয়। আমি নিজে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে আবেদন করেছিলাম। উনি আমায় সুযোগ করে দেন বাংলা খেয়ালের চারটি ওয়ার্কশপ করার জন্য। দুটি হয় এর মধ্যে। কিন্তু তারপরই কোভিড চলে আসে।'
আরও পড়ুন: বুড়ো কবীর সুমনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে অল্পবয়সীরা! বললেন, 'যৌনতার জন্য আজ কেউ বিয়ে করে না...'
আরও পড়ুন: 'অত কাছে গিয়েও...' অরিজিতের দেখা পেতে ছুটে যান মুর্শিদাবাদ, তবুও 'ভগবান' কেন দেখা দেননি শুভদীপকে?
এরপর তিনি আরও জানান, ' আমি মমতার সহযোদ্ধা ছিলাম। কিন্তু আমাদের বহুবার মতের বিরোধ হয়েছে। আমি ওকে নিয়ে গান বানিয়েছিলাম। সেই গানে প্রতিবাদ ছিল, স্যাটায়ার ছিল। কিন্তু উনি সেটার প্রতিবাদ করেননি। প্রতিশোধ নেননি। আগের সরকার হলে সেই গানের পর হয়তো আমায় এখানে থাকতেই দিত না। উনি দিয়েছিলেন। আমি ওকে বলেছিলাম আমার পরীক্ষা নাও। দেখো আমি খেয়াল জানি কিনা। কিন্তু তাও উনি আমায় এই ওয়ার্কশপের সুযোগ করে দিয়েছিলেন।'
তাঁর ৭৫ বছরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তিনি ভক্তদের রিটার্ন গিফট দিয়েছেন। ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় তাঁর একক খেয়াল সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। গত ১৬ মার্চ ছিল তাঁর জন্মদিন।
আরও পড়ুন: 'এবার আমরা...' ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর আবারও ফেসবুকে ফিরছেন সব্যসাচী! কী ঘোষণা করলেন বন্ধু সায়ক?
প্রেম নিয়ে কী বললেন কবীর সুমন?
কবীর সুমন এদিন প্রেম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, 'প্রেম চলে গেছে বলে মনে করি না। তবে অভিব্যক্তি বদলে গিয়েছে। আমি এখনও নিয়মিত প্রেমে পড়ি। এমনকি অল্পবয়সীরাও এই বুড়োর প্রেমে পড়ে হামেশাই।' এদিন তিনি আরও জানান, আজকালকার যুবক যুবতীরা অনেক বেশি ম্যাচিওর। কবীর সুমনের কথায়, 'আজকাল যুবক যুবতীদের মধ্যে যে ম্যাচিওরিটি দেখা যায় সেটা আগে ছিল না। ভাবনা পাল্টেছে, কিন্তু প্রেম না। আসলে কামনায় আমি মুক্ত হয়ে গিয়েছি এখন। সঙ্গমের নিমিত্ত বিয়ে সেটাও এখন আর কেউ মনে করেন না। আসলে মানুষ এবং তাঁদের ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছে।'