বলিউডের খ্যাতনামা নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম কাজল। জানতেন আপনি এই তথ্যগুলি তাঁর ব্যাপারে?
1/6 ১৯৯২ সালে বেখুদি দিয়ে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন কাজল। তরপরের বছরই কাজ শাহরুখ খানের সঙ্গে বাজিগর ছবিতে। ১৯৯৫ সালে করণ অর্জুন ছবি হিট করলে কাজলের গায়ে সেঁটে যায় এ লিস্টার হিরোইনের তকমা। তারপর তো গুপ্ত, ইশক, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, রাজু চাচা, কাল হো না হো-র মতো একাধিক হিট দিতে থাকেন একের পর এক। কাজলকে শেষ দেখা গিয়েছে ট্রায়াল-এ। চলুন জন্মদিনে বলিউডের এই নায়িকার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক কিছু তথ্য, যা জানেন না অনেকেই।
2/6 মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিনয় শুরু করে দেন। ফলে লেখাপড়া শেষ করার সুযোগই মেলেনি। তবে পড়াশোনাতে মোটেই খারাপ ছিলেন না। কপিল শর্মা শো-র একটি এপিসোডে কাজল জানিয়েছিলেন ক্লাস টেনের বোর্ডের পরীক্ষায় তাঁর নম্বর এসেছিল ৬০ শতাংশ। পঞ্চগনির সেন্ট জোসেপ কনভেন্ট স্কুলের ছাত্রী ছিলেন তিনি। স্কুলে থাকতেই, লেখাপড়ার পাশাপাশি ভালোবাসতেন নাচ করতে।
3/6 অভিনয়ের পাশাপাশি একাধিক এনজিও-র সঙ্গে কাজ করেন অজয় দেবগন-পত্নী, যা দুঃস্থ বাচ্চাদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। বহুদিন ধরে যুক্ত আছেন শিক্ষা এনজিওর সঙ্গে। একই সঙ্গে প্রথম ও লুম্বা ট্রাস্টেরও ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর তিনি। এই দুটিও মেধাবী বাচ্চাদের লেখাপড়া নিয়ে কাজ করছে বহুদিন ধরে। জাতিসংঘের তরফে কাজলকে তাঁর সামাজিক কাজের জন্য করমবীর পুষ্কর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
5/6 ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন কাজল আর অজয় দেবগন। শুধু পরিবার ও হাতে গোনা বন্ধুদের নিয়ে হয়েছিল সেই অনুষ্ঠান। মিডিয়ার নজর এড়াতে অভিনেত্রী সেইসময় করেছিলেন একটি বড় কাজ। কপিল শর্মা-র শো-তে এই ব্যাপারে জানান, ‘হ্যাঁ আমি বিয়ের সময় মিডিয়াকে ভুল ঠিকানা দিয়েছিলাম। কারণ আমি না বললে ওরা কিছু না কিছু করে জেনেই যেত। তাই আমি ওদেরকে ভুল ঠিকানা দিয়ে দেই। এবার খুঁজতে থাকুক।’
6/6 কাজল শিব ভক্ত। হিরে গাঁথা একটা আংটি সবসময় পরে থাকেন নিজের হাতে। যা তাঁকে উপহার দিয়েছেন অজয় দেবগন। যদিও অজয় এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছোট ছোট উপহারেই খুশি হয়ে যান তাঁর বউ। খুব দামি উপহারের দরকারই পড়ে না। তাই তো গাড়ি-ভক্ত অজয় কাজলের প্রতিটা জন্মদিনে নতুন নতুন গাড়ি দেন কাজলকে। আর কিছুদিন পর সেটা নিজেই ব্যবহার শুরু করেন।