করোনা সংকট আমাদের গোটা জেনারেশনকে অনেক কিছু শেখাচ্ছে এবং আগামীদিনেও শেখাবে এমনটাই মনে করেন অভিনেতা তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কমল হাসান। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য এবং সৃজনশীলতাই একমাত্র উপায় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। ফিভার ডিজিট্যালের উদ্যোগে আয়োজিত 100 Hours With 100 Stars অনু্ষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন দক্ষিণী চলচ্চিত্রের এই নামী তারকা।
পজিটিভ থাকাটাই কমল হাসানের জীবনের মূলমন্ত্র। অভিনেতার কথায় ‘এটাই আমাকে আমার মা-বাবা ছোটবেলায় শিখিয়েছে। শুধু করোনা সংকট নয় আমি সব পরিস্থিতিতেই পজিটিভ থাকায় বিশ্বাসী। আমি জীবনে অনেক কিছুর সম্মুখে পড়েছি..হাড় ভেঙেছে,চোট পেয়েছি, হাসপাতালে ভর্তি থেকেছি কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছি’।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এটাই গোটা বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ-করোনা সংকট নিয়ে আগেই একথা জানিয়েছিলেন কমল হাসান। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে রেফারেন্স পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার করেছি। ইউরোপ পাল্টে গিয়েছিল প্লেগের জন্য..প্লেগ কয়েক হাজার বছর ধরেই ছিল কিন্তু যখন সেটা মহামারীর আকার নিল..গোটা ইউরোপ ধ্বংস হতে বসেছিল।এরপর সেখান মানুষজন বুঝতে শিখেছে,জেনেছে সিভিক ডিউটি বলেও একটা বিষয় আছে যা মেনে চলা উচিত। সব সময় স্বার্থপর হলেই চলবে না।
মৃত্যু আর ধ্বংস অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে-বিশ্বাস করেন কমল হাসান। এ ব্যাপারে চেঙ্গিজ খাঁ’র প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন-‘ওই মানুষটা এত মৃত্যু দেখেছে যে উপলব্ধি করেছে কমিউনিকেশন কতটা জরুরি, তাই হয়ত বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ রাস্তা (সিল্ক রুট) সে তৈরি করেছিল’।
আশেপাশের ছোটখাটো বিষয়গুলোকেও নজরে আনতে বা সম্মান জানাতে শিখিয়েছে এই সংকটজনক পরিস্থিতি মনে করেন কমল হাসান। অভিনেতার কথায়, আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকতাম যে বুঝেই উঠতাম না আমাদের আশেপাশে এই জিনিসগুলো বা এই মানুষগুলোরও অস্তিত্ব আছে। সেই ছোটছোট অনুভূতিগুলো করোনা সংকট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে’।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমস।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।