ফলাফল ঘোষণার পর বঙ্গে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে তৃণমূল। শাসক দলের জয়ের পর থেকে সেলেবকুলও নানা পোস্টের মাধ্যমে নজর কেড়েছেন। তবে জয়ের পর অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের মুখে শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা। যদিও বরাবরই কট্টর মোদি সমর্থক হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা।
অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে। তা নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বলি কুইন। বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তর টুইটে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কঙ্গনা টুইট করেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর... গুন্ডাইকে মেরে ফেলার জন্য আমাদের সুপার গুন্ডাইয়ের প্রয়োজন... তিনি অব্যক্ত দানবের মতো, তাঁকে দমন করার জন্য দয়া করে ২০০০ সালের প্রথম দিকের বিরাট রূপটা দেখান মোদি জী... #PresidentRuleInBengal’।
প্রসঙ্গত, ভোট মিটতেই গোটা রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার ‘ভয়ংকর বাতাবরণ’ তৈরি হয়েছে নানুরে। এমনটাই দাবি করে সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন তারকেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্ত। নানুরে নিরাপত্তাবাহিনী পাঠাতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
টুইটারে অমিত শাহকে ট্যাগ করে স্বপন লিখেছেন, ‘নানুরে (বীরভূম) আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিজেপি সমর্থকদের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করা উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে হাজারের বেশি (নির্দিষ্ট ধর্মের) পরিবার মাঠে নেমে এসেছে। নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা বা তার চেয়ে আরও খারাপ বিষয়ের খবর মিলছে।' এরপরই অমিত শাহকে ওই এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনী পাঠাতে অনুরোধ করেন স্বপন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বাঙালি-বাংলার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে। কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী সুমিত চৌধুরী। অভিযোগে আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘বাঙালি ও বাংলার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। বিজেপির পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছেন কঙ্গনা। বাংলার আইনশৃঙ্খলার ভারসাম্য নষ্ট করতে চাইছেন অভিনেত্রী। এনআরসি ও সিএএ-র সমর্থনে কথা বলে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি’।