বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > ভারত 'খান এবং মুসলিম অভিনেত্রীদের' প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট, পাঠান নিয়ে কটাক্ষ কঙ্গনার

ভারত 'খান এবং মুসলিম অভিনেত্রীদের' প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট, পাঠান নিয়ে কটাক্ষ কঙ্গনার

পাঠানের সাফল্যে বিস্ফোরক টুইট কঙ্গনা রানাওয়াতের। 

পাঠান নিয়ে ফের বিস্ফোরক টুইট কঙ্গনা রানাওয়াতের। যেখানে তিনি কটাক্ষ করে লিখেছেন ভারত 'খান এবং মুসলিম অভিনেত্রীদের' প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট।

টুইটারে ফিরে এসেই স্বমূর্তি ধারণ করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। পাঠান নিয়ে করে চলেছেন একের পর এক বিস্ফোরক টুইট। শাহরুখ খানের এই সিনেমা বক্স অফিসে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। চার দিনে ২০০ কোটির ঘরে এন্ট্রি নিয়েছে। তিন দিনই আয় করেছে ১৫০ কোটির উপরে। শুধু শুক্রবারে খানিক কম হয়েছে ব্যবসা, তাও ৪০ কোটির কাছাকাছি। আর এই সাফল্য নিয়ে করা টুইটে কঙ্গনা লিখেছেন, ভারত 'খান এবং মুসলিম অভিনেতাদের' প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। সম্প্রতি, তিনিই বলিউডকে সতর্ক করেছিলেন পাঠানের সাফল্যে রাজনীতি না আনতে এবং কেবল সিনেমার সাফল্য উপভোগ করতে।

শনিবার কঙ্গনা রানাওয়াত টুইটারে লেখেন, ‘খুব ভালো বিশ্লেষণ… এই দেশটি শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র সমস্ত খানকে ভালবাসে এবং কখনও কখনও শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র খানকেই ভালোবাসে... এবং মুসলিম অভিনেত্রীদের নিয়ে আচ্ছন্ন থাকে। তাই ভারতকে ঘৃণা ও ফ্যাসিবাদের জন্য অভিযুক্ত করা খুবই অন্যায় … সারা বিশ্বে ভারত (ভারতীয় পতাকা ইমোটিকন)-এর মতো কোনও দেশ নেই।’

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বাংলার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পর একাধিক বিতর্কিত টুইট করেছিলেন কঙ্গনা। যাতে আক্রমণ করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তারপরই হিংসা ছড়ানোর অপরাধে বরাবরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রানাওয়াতের টুইটার অ্যাকাউন্ট। পরে ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পরই চলতি সপ্তাহে অভিনেত্রী ফেরত পান তাঁর অ্যাকাউন্ট।

যেই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে কঙ্গনা এই টুইটখানা করেছিলেন তাতে লেখা ছিল, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে ভালোবাসা পেয়েছে শাহরুখ খানের পাঠান। আর এখ কারণেই কোনও বয়কট ট্রেন্ডও নাড়াতে পারেনি। কঙ্গনার টুইটে মন্তব্য করেছেন একাধিক। একজন লিখেছেন, ‘এভাবে পাঠানের ঘাড়ে চেপে খবরে আসার চেষ্টা করছে কঙ্গনা’।

অপরজন লিখলেন, ‘তাহলে আপনি বলছেন যে আপনি এই দেশের অংশ নন? আপনি যা করেছেন তা হল বিনা কারণে খানদের আক্রমণ করা (এবং নিজের প্রয়োজনে অন্যদেরও) এবং সর্বদা যে কোনও কথায় ধর্মের কার্ড খেলা।’ আরেকজন লিখলেন, ‘সবকিছুকে মুসলিম এবং অমুসলিমদের জন্ডিসযুক্ত চোখের মাধ্যমে দেখা আপনার রোগ। এটি গভীর এবং এটি কারও সত্তার পচন ধরায়। আপনি কখন ভারতীয়দের খান/মুসলিমদের মধ্যে বিভক্ত করেন, তখন তা কোটি কোটির মধ্যে ঘৃণা ছড়ায়। তাঁরা নিছকই ভারতীয়। কেন আপনি তাদের লেবেল করছেন?’

পাঠানের মুক্তি গোটা দেশের কাছে একটা উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুক্তির আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল রেকর্ড ভাঙা। এই সিনেমার অগ্রিম বুকিং শুরু হয়েছিল ২০ জানুয়ারি। ক্রমবর্ধমান টিকিটের চাহিদার কারণে হল মালিকরা সকালের স্ক্রিনিং বাড়াতে বাধ্য হন। এসআরকে ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকেও করা হয়েছিল একাধিক আয়োজন। পাঠান মার্চেন্ডাইজ যেমন টি-শার্ট, ফোনের কভার পর্যন্ত বিলি করা হয়েছিল। ছবি আর কী কী রেকর্ড ভাঙে এখন সেটাই দেখার।

 

বন্ধ করুন