সোনিতে রমরমিয়ে চলছে কেবিসি-র নতুন সিজন। আর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই পাওয়া গেল ৭৫ লাখের প্রথম বিজেতা আয়ুষ গর্গকে। ‘ধন অমৃত’ (৭৫ লাখ ক্যাটাগরির নাম) পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন আয়ুষ। আজই (১৬ অগস্ট) হবে এই এই এপিসোডের সম্প্রচার।
কৌন বনেগা ক্রড়োরপতির এটা ১৪ নম্বর সিজন। আর স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে এবার এই গেম শো-তে ৭৫ লাখের ক্যাটাগরি আনা হয়েছে। আর সেটাকেই নাম দেওয়া হয়েছে ‘ধন অমৃত’। আর ৭৫ লাখের প্রথম বিজেতা হিসেবে নিজের নাম সোনার অক্ষরে লেখালেন দিল্লির আয়ুষ।
কেবিসি প্রসঙ্গে আয়ুষ জানান, আর সবার মতো তাঁরও স্বপ্ন ছিল কেবিসিতে আশার। আর আমি খুব খুশি যে আমার সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। অমিতাভের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এই প্রতিযোগী জানালেন কীভাবে তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন। ভরসা দেন। নিজের জিতে নেওয়া টাকা কীভাবে খরচ করবেন তা নিয়েও কথা বলেন। আরও পড়ুন: ভিডিও থেকে সিদ্ধার্থকে কেটে বাদ দিলেন কিয়ারা! দেখেই মন্তব্য নায়কের, হল খুনশুটি
‘সেই ছোট থেকে গোটা পরিবারের সঙ্গে বসে কেবিসি দেখছি। আর আমারও স্বপ্ন ছিল এখানে আসার। এটা আমার জন্য একদম আলাদা একটা অভিজ্ঞতা। আর চ্যানেলে যখন প্রোমো দেখানো হচ্ছে তখন যেন আরও বিশ্বাসযোগ্য লাগছে স্বপ্নটা। এতদিন দর্শক হিসেবে দেখেছি, আর আজ আমি হটসিটে।’, বললেন তিনি।
আয়ুষ আরও বলেন, ‘কেবিসি আর মিস্টার বচ্চন যেন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। ওর সিনেমা দেখে বড় হয়েছি, কেবিসি দেখে বড় হয়েছি। পরিবারের সমস্ত সদস্য, বিভিন্ন বয়সের মানুষ ওঁর সঙ্গে কানেক্ট করতে পারে। ওঁর ব্যক্তিত্ব দুর্দান্ত, বিশেষ করে এই শো-তে এলে সেটা বোঝা যায়। কিন্তু সবচেয়ে ভালো হল এই আরাটা কিছুক্ষণের মধ্যে ভেঙে ফেলে তিনি প্রতিযোগীদের আশ্বস্ত করে তোলেন।’ আরও পড়ুন: রাঘব জুয়ালের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন শেহনাজ গিল! হৃষিকেশ ঘুরছেন একসঙ্গে
নিজের প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে কেবিসিতে এসেছিলেন আয়ুষ। আর এটাকে খুব প্রশংসাও করেন অমিতাভ। এমনকী অনলাইন ডেটিং নিয়ে প্রতিযোগীর সঙ্গে মজা করার সুযোগও ছাড়েননি বিগ বি। আর এই প্রসঙ্গেই আয়ুষ বলেন, ‘উনি বরাবরই নানা টপিকে কথা বলতে ভালোবাসেন। সব জিনিস নিয়ে ওঁর উৎসাহ, জানার উৎসাহ। আর এটা যে শুধু আমার সঙ্গে তা নয়, সবার সঙ্গেই করতে দেখেছি ওঁকে এর আগে। আর সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হল উনি আপনার ও আপনার পরিবার নিয়ে নানা প্রশ্ন করে আপনাকে আশ্বস্ত করে তোলে।’
কীভাবে খরচ করবেন জিতে নেওয়া ৭৫ লাখ টাকা। আয়ুষ জানান, ‘এখনও সে নিয়ে কিছু ভাবিনি। তবে জিতে যাওয়া টাকা কোনও স্টার্টআপে লাগাতে পারি। কিছু স্টার্টআপ নিয়ে আমার ভাবনাচিন্তা চলছে। আমি দেখেছি যদি ঠিকঠাক স্টার্টআপে টাকা লাগাও তাহলে কীভাবে জীবনে উন্নতি আসা সম্ভব। যা আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বদল আনবে। আমার স্বপ্ন হল আমি নিজের একটা কিছু করতে পারব। আশা করি কয়েকবছরের মধ্যেই তা সম্ভব হবে।’