কৌন বনেগা ক্রড়োরপতি-তে চলছে এখন পারিবারিক সপ্তাহ। কেবিসি ১৫-এর সঞ্চালক হিসেবে ফের একবার দর্শক মনে জায়গা করে নিচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন। শেষ এপিসোডে কেবিসি-র হট সিটে বসেন কলকাতার চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ধ্রুবরুব, সুনির্মলা আর নন্দিতা। এপিসোডের শুরুতেই বিগ বি ধ্রুবরুবকে প্রশ্ন করেন তাঁর আর তাঁর স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হলে, কার পক্ষ নেন তাঁর মা। যাতে ধ্রবরুবের জবাব, তাঁর বউ আর মা সবসময় থাকে এক টিমে, তা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন।
কলকাতার চট্টোপাধ্যায় পরিবার ৬ লাখ ২০ হাজারের প্রশ্নের জবাবও সঠিকভাবে দেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়, প্রাইজ মানির টাকার কিছুটা রাখা হবে মেয়ের পড়াশোনার জন্য। আর বাদবাকি টাকা দিয়ে যাবেন বিদেশে ঘুরতে। তবে হোঁটচ খেলেন ৫০ লাখের প্রশ্নে এসে। আরও পড়ুন: জিতুর সঙ্গে ডিভোর্স, পুজোর শেষ লগ্নে তাও ‘প্রাক্তন’-এর স্কুটারে ঘুরলেন নবনীতা!
সেই প্রশ্ন ছিল, কোন ক্রিকেটার শিকারে গিয়ে চোখে চোট পাওয়ার পর অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। অপশনে ছিল, ১) ইফতিখার আল খান পতৌদি ২) মনসুর আলি খান ৩) গুলাবরাই রামচাঁদ ৪) কুমার শ্রী রঞ্জিতসিংজি ৷
তবে ভুল উত্তর দেন ওই পরিবার। সঠিক উত্তর ৪, কুমার শ্রী রঞ্জিতসিংজি। তবে চট্টোপাধ্যায় পরিবার ব্যর্থ হয় সঠিক উত্তর দিতে। জবাব জানা না থাকয় শো কুইট করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এবং ঘরে নিয়ে যান ২৫ লাখ। আরও পড়ুন: আলিয়াকে উঠতে-বসতে ‘তাচ্ছিল্য’, লিপস্টিক মুছতে বলা! অবশেষে মুখ খুললেন রণবীর কাপুর
রঞ্জিতসিংজি ভারতের সরোদরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যেটি সেই সময়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল। তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করতেন। ১৮৯৬ থেকে ১৯০২ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ১৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ‘"ভারতীয় ক্রিকেটের জনক’ নামেও পরিচিত। রঞ্জি ট্রফির নামকরণও করা হয়েছিল রঞ্জিতসিংজির নামে। আরও পড়ুন: কাঠের তক্তার সিঁড়ি বেয়ে দুর্গা মাকে বরণ অন্তঃসত্ত্বা শুভশ্রীর, সামলে রাখলেন রাজ
দুর্ভাগ্যবশত এক শিকার অভিযানের সময় চোখে চোট পান রঞ্জিতসিংজি। ফলে অসময়ে শেষ হয়ে যায় ক্রিকেট কেরিয়ার। ১৯২০ সালে খেলেন তাঁর শেষ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করার সময়, রঞ্জিতসিংজি ১৫টি টেস্ট ম্যাচে ৪৪.৯৫ গড়ে ৯৮৯ রান করেছিলেন, দুটি সেঞ্চুরি সহ।