‘চেঙ্গিজ’-এর প্রথম সপ্তাহের বক্স অফিস কালেকশন কত? সেই নিয়ে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে। জিতের ছবিকে অনেকেই ‘ফ্লপ’ বা ‘ডিজাস্টার’ তকমা দিয়ে ট্রোল করতে ছাড়েননি সোশ্যাল মিডিয়ায়। অথচ ছবির কালেকশন নিয়ে চুপ থেকেছেন প্রযোজক-অভিনেতা জিৎ। রাণা সরকার শুরু থেকেই ‘চেঙ্গিজ’ নিয়ে সোশ্যালে কটূক্তি করতে ছাড়েননি, দেব ভক্তদের একাংশের প্রশ্নবাণেও বিদ্ধ হয়েছে টলিউডে ‘বস’। টলিউডের প্রথম প্য়ান-ইন্ডিয়া ছবি হিসাবে এই ছবি কতটা সফল, কতটা ব্যর্থ সেই নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই। ইদ মিটতেই ‘চেঙ্গিজ’-এর চেয়ে ‘একেন বাবু’র রাজস্থান অভিযোগ দেখতে হলে বেশি দর্শক ছুটেছেন, তার মাঝেই ‘চেঙ্গিজ’ নিয়ে মুখ খুললেন জিৎ।
মঙ্গলবার ফেসবুকে চেঙ্গিজকে ‘সুপারহিট’ তকমা দিলেন জিৎ নিজে।অভিনেতা লেখেন, ‘আমাকে পছন্দ করুন বা ঘৃণা, দুটোই আমার পক্ষে। যদি তুমি আমাকে পছন্দ কর আমি তোমার হৃদয় আর যদি তুমি আমাকে ঘৃণা কর তাহলে আমি তোমার মনে রয়েছি'। জিতের দাবি এটি নাকি স্বামী বিবেকানন্দের বাণী। এই উদ্ধৃতির পর জিৎ লেখেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, চেঙ্গিজ সুপারহিট, আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ’।
চেঙ্গিজ গত ১০ দিনে কত টাকা কামাই করল? সেই তথ্য অবশ্য প্রকাশ্যে আনেননি জিৎ, কিন্তু চেঙ্গিজকে সুপারহিটের তকমা দিলেন নিজেই! সেই নিয়েও জিৎ-কে আক্রমণ শাণালেন রাণা সরকার। তিনি পালটা ফেসবুকে লেখেন, ‘মানবজমিন সুপারহিট…. আমাকে পছন্দ করুন আর ঘৃণা করুন এটা মেনে নিন’। প্রসঙ্গত, রাণা সরকার নিজেই আগে জানিয়েছেন তাঁর প্রযোজিত ছবি বক্স অফিসে ফ্লপ করেছে।
বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর, মুক্তির প্রথম সাত দিনে হিন্দি বলয় থেকে ‘চেঙ্গিজ’-এর হিন্দি ডাবড ভার্সন আয় করেছে মোট ১.২৫ কোটি টাকা, এমনটাই বলা হয়েছে বলিউড হাঙ্গামার রিপোর্টে। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। বাংলার মার্কেটে এই ছবির কালেকশন ২ কোটির আশেপাশে। sacnilk.com-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ‘চেঙ্গিজ’-এর বাংলা ভার্সনের প্রথম সাত দিনের কালেকশন ২.২৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে boxofficebusiness.in-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, জিতের ছবির ৮ দিনের মোট বক্স অফিস কালেকশন (হিন্দি ও বাংলা মিলিয়ে) ৪.১৯ কোটি টাকা।
সত্তরের দশকের প্রেক্ষাপটে সাজানো গ্যাংস্টার চেঙ্গিজের গল্প উঠে এসেছে ছবিতে। জিতের নায়িকায় ভূমিকায় দেখা মিলেছে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোহিত রায়। সমালোচকদের তরফে খুব বেশি প্রশংসা কুড়োতে ব্যর্থ হয়েছে এই ছবি। তবে 'বাংলায় মশালা এন্টারটেনার ছবি ফিরিয়ে আনার প্রথম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে উঠতে পারে চেঙ্গিজ' এমন কথা বলেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘চেঙ্গিজ’ সেভাবে দর্শক টানতে ব্যর্থ। তাই হুড়মুড়িয়ে কমছে কিন্তু ‘প্রজাপতি’র মতো ফ্য়ামিলি ড্রামা যেখানে ১০ কোটির ব্যবসা হাঁকাচ্ছে, সেখানে ‘চেঙ্গিজ’-এর এই পারফরম্যান্স কতটা সন্তোষজনক? প্রশ্নচিহ্ন রয়েই গেল!