ইরানের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি 'মুহাম্মদ:দ্য মেসেঞ্জার অফ গড'। বিশ্ববিখ্যাত পরিচালক মাজিদ মাজিদির এই ছবি গড়ে উঠেছে ইসলাম ধর্মের পয়গম্বর,নবী হজরত মুহাম্মদের জীবনকে কেন্দ্র করে। ২১ জুলাই ভারতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার কথা মাজিদির এই ছবির। তার আগে এই ফিল্মের মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীমন্ত্রী রবি শঙ্করকে চিঠি লিখলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। এই ছবি এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন অনিল দেশমুখ।
চিঠিতে মহারাষ্ট্রের গৃহমন্ত্রী লেখেন, এই ছবি যদি নির্ধারিত দিনে মুক্তি পায়, তাহলে এটি একটি সম্প্রদায়ের বিশ্বাসে এবং ভাবাবেগে আঘাত হানতে পারে। এই ছবি ধর্মীয় অস্থিরতা তৈরি করতে পারে যার জেরে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যাহত হতে পারার আশঙ্খা রয়েছে। ইনফরমেশন টেকনোলজি আইনের ৬৯এ ধারা প্রয়োগ করে আমরা সবরকম ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে এই ছবির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জানানোর আবেদন জাানাচ্ছি। অনুরোধ জানাচ্ছি, ফেসবুক,ইউটিউব, টুইটার,হোয়াটসঅ্যাপের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুলোতেও এই ছবির মুক্তিতে জাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশিকা জারি করা হয়।
ধর্মীয় সংগঠন ‘রজা অ্যাকাডেমি’র অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্রের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। শুরু থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়েনি 'চিলড্রেন অফ হেভেন' খ্যাত পরিচালক মাজিদির এই ছবির। তিন পর্বের সিনেমার প্রথমভাগ তৈরির পরিকল্পনা মাজিদি শুরু করেছিলেন ২০০৭ সালে। ছবির প্রথম পর্বে মহানবীর শৈশব অর্থাত্ ষষ্ঠ শতকের মক্কার জীবনআলেখ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন ভারতের এআর রহমান। ছবির সিনেমাটোগ্রাফার তিনবারের অস্কারজয়ী ভিত্তোরিও স্তোরারো।
ইসলামের মহানবীর শারীরিক চিত্রায়ন নিষিদ্ধ। সেই নিয়ম মেনেই এই ছবিতে মুহাম্মদ (স:) মুখ দেখাননি মাজিদি,তেমনটাই জানা যায়। তবুও শুরু থেকেই ভারতে এই ছবির মুক্তিতে বিরোধ জানানো হয়েছে। রজা অ্যাকাডেমির বিরোধের জেরেই ২০১৫ সালে ছবির থিয়েট্রিক্যাল রিলিজে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। এবার ছবির ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি ঘিরেও আপত্তি জানাচ্ছে এই সংগঠন।
মহারাষ্ট্র সাইবার ডিপার্টমেন্টের তরফেও একটি পৃথক চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে এই ছবির ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে উত্সবে প্রদর্শিত এবং ব্যাপক প্রশংসিত হয় মাজিদ মাজিদির এই ছবি। সেই সময় তিলোত্তমায় হাজির ছিলেন স্বয়ং পরিচালক।
.