ভক্তদের মৃত্যু কামনা করে ব্যাপক রোষের মুখে পড়েছিলেন কমেডিয়ান মল্লিকা দুয়া। সেই বিতর্কিত কমেডিয়ান তথা অভিনেত্রীর কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, হরদীপ সিং পুরী। এর জেরেই ব্যাপক রোষের মুখে মোদীর মন্ত্রীসভার এই সদস্য।
করোনা আক্রান্ত হয়ে আপতত হাসপাতালে চিকিত্সাধীন বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিনোদ দুয়া এবং তাঁর স্ত্রী চিন্না দুয়া। গুরুগ্রামের এক হাসপাতালে চিকিত্সাধীন এই প্রবীণ দম্পতি। শনিবার পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে চটজলদি টোসিলিজুমাব ওষুধের প্রয়োজন পড়েছিল চিন্না দুয়ার। করোনা রোগীদের জন্য অপরিহার্য ওষুধ এটি, চিন্না দুয়ার মেয়ে অভিনেত্রী-কমেডিয়ান মল্লিকা দুয়া সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রো ব্লগিং সাইটে সাহায্যের আর্জি জানান।
একাধিক সেলব ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ট্যাগ করে সাহায্য প্রার্থনা করেন মল্লিকা। অভিনেতা সোনু সুদ, কংগ্রেস নেতা দীপেন্দর হুড্ডাদের উদ্দেশে টুইট বার্তা পাঠান মল্লিকা। তবে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরপাল খট্টরসহ কোনও বিজেপি নেতার কাছেই সাহায্য চাননি মল্লিকা। তবে আগ বাড়িয়ে মল্লিকার মায়ের চিকিত্সার জন্য টোসিলিজুমাব ওষুধ জোগাড় করে দেন বিজেপি সাংসদ, তথা অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, ভক্তরা ব্যাপক ক্ষুদ্ধ হন এই বিজেপি নেতার প্রতি। কারণ প্রকাশ্যে মোদী ভক্তদের মৃত্যু কামনা করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন মল্লিকা দুয়া। এমনকি পুলওয়ামা হামলায় শহিদ জওয়ানদের নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মল্লিকা।
টুইটারে নতুন করে ভাইরাল মল্লিকার সেই পুরোনো সাক্ষাত্কারের টুকরো ঝলক। কোন টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হোক, এমন প্রার্থনা করেন তিনি, এই প্রশ্নের জবাবে সপাটে মল্লিকা বলেছিলেন, 'সব ভক্তদের, আইটি সেলের সকলেই…… (অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন), ওদের মরে যাওয়া উচিত'।
বিজেপি ভক্তরা মন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন, দেশে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের, বিশেষত মল্লিকা যখন তাঁর কাছে সাহায্য চাননি, তখন আগ বাড়িয়ে এই সাহায্য করাটা অর্থহীন।