গীতিকার জাভেদ আখতারের সংস্থার নামে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বলিউডের এই বিখ্যাত গীতিকারের সংস্থা নাকি বেআইনিভাবে টাকা তুলেছে। এমনই অভিযোগ এনে এই সংস্থার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে। গণেশ মালিক নামক এক ব্যক্তি জাভেদ আখতারের সংস্থার নামে এই মামলা করেছেন। আসল ঘটনাটি কী? কেন আচমকা বিতর্কে জড়ালেন এই প্রৌঢ় গীতিকার?
জাভেদ আখতার আইপিআরএস নামক একটি সংস্থার সঙ্গে নাকি যুক্তি। আর গীতিকার যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, সেই সংস্থার নামেই এবার অভিযোগ উঠেছে। যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, অর্থাৎ গণেশ মালিক জানিয়েছেন, সঙ্গীত শিল্পী জাভেদ আখতার আইপিআরএস নামক একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আর তিনি এই সংস্থার বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু অভিযোগটা ঠিক কী? গণেশ মালিক তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি তথা সঙ্গীত শিল্পীরা জাভেদ আখতারের গান গাইছেন তাঁদের থেকে টাকা তুলছে গানের কপি রাইটের নাম করে! শুধু কলকাতা নয়, গোটা দেশ জুড়েই নাকি এই ব্যবসা চালাচ্ছে এই সংস্থা।
গণেশ মালিকের দাবি অনুযায়ী ইডি এই মামলার তদন্ত করুক। এই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হবে।
তবে এই প্রথমবার কেউ জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে মামলা করলেন এমনটা কিন্তু মোটেই নয়। এর আগেও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত নিজে সঙ্গীত শিল্পী তথা গীতিকার জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেছিলেন। এই মামলার ভিত্তিতে তখন জাভেদ আখতার কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন আইপিসি ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায়। মুম্বাই হাইকোর্টে এই মামলা করেন গীতিকার। তখন কঙ্গনা কী বলেছিলেন জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে? হৃতিক রোশনের সঙ্গে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল সেটার প্রসঙ্গে জাভেদ নাকি তাঁকে বাড়িতে ডেকে হুমকি দিয়েছেন। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন বলিউডের কন্ট্রোভার্সি 'কুইন'।
শুধুই কী তাই? সুশান্ত সিং রাজপুত যখন সুইসাইড করলেন, তখনও কঙ্গনা রানাওয়াত স্বজনপোষণ নিয়ে সরব হয়ে ছিলেন। এবং সুশান্তের মৃত্যুর পর নেপটিজম তথা স্বজনপোষণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল সেখানেও কঙ্গনা জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে জানান জাভেদ আখতার। তিনি বলেন, কঙ্গনার এই ধরনের কথার জন্য তিনি নানান হুমকি পেয়েছেন, উড়ো টেলিফোন এসেছে তাঁর কাছে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁকে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বলে জানান জাভেদ আখতার। যখন এই মামলা আদালতে উঠেছিল তখন কঙ্গনা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তখন তাঁকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, তিনি শুনানির দিন উপস্থিত না থাকলে গ্রেফতার করা হবে তাঁকে।