অবশেষে গুজবে সিলমোহর পড়ল! মাস্টারশেফ ইন্ডিয়ার খেতাব এবার সত্যি জয় করলেন অসমের নয়নজ্যোতি সাইকিয়া। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে দাবি করা হয় তিনিই এবারের খেতাব জিতেছেন। সেটা সত্যি বলেই প্রমাণিত হল শেষ পর্যন্ত।
সেরা ৩৬ জনকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। তারপর সেটা কমে হল সেরা ১৬। এরপর আসে সেরা ৭ এবং সেরা ৩। তারপর সমস্ত কড়া প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ীর মুকুট উঠল অসমের এই ভূমিপুত্রের মাথায়। নয়নজ্যোতি কেবল এবারের মাস্টারশেফ ইন্ডিয়ার খেতাব জেতেননি, একই সঙ্গে তিনি সবার মন জয় করে নিয়েছেন নিজের সরল ব্যবহারে।
একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন নয়নজ্যোতি। সবেতেই উত্তীর্ণ হয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত সঞ্জীব কাপুরের দেওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জটিও জয় করে নেন তিনি। এই খেতাব জিতে ২৫ লাখ টাকার চেক পান।
দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর অসমের শান্তা শর্মা এবং মুম্বইয়ের সুবর্ণা বাগুলকে হারিয়ে নয়নজ্যোতি এই খেতাব জেতেন। এবারের সিজনে দ্বিতীয় হন শান্তা এবং তৃতীয় হন সুবর্ণা। তাঁরা দুজনেই ৫ লাখ টাকা করে জেতেন।
এবারের মাস্টারশেফ ইন্ডিয়ায় রণবীর ব্রার, বিকাশ খান্না এবং গরিমা আরোরা ছিলেন বিচারক হিসেবে। তবে ফিনালের দিন শেফ সঞ্জীব কাপুরকেও বিচারকের আসনে দেখা যায়। এদিন প্রতিযোগীদের তিনি থ্রি কোর্স মিল চ্যালেঞ্জ দেন। আর সেই প্রতিযোগিতায় সেরার সেরা হিসেবে বিবেচিত হন নয়নজ্যোতি। এই তিন ফাইনালিস্ট এদিন আমুলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়ন মেহতার থেকে মেডেল পান।
এদিনের থ্রি কোর্স মিল চ্যালেঞ্জে নয়নজ্যোতি নিজের জায়গার খাবারকে তুলে আনেন। তিনি তিনসুকিয়া পরিবেশন করেন, সেখানে দেন কাঁকড়ার ঝাল, অহমিয়া স্টাইলের হাঁসের কারী এবং বেরি সরবৎ।
এই খেটব জয়ের পর নয়নজ্যোতি বলেন, 'আমার একটি সহজ স্বপ্ন ছিল। আমি মাস্টারশেফ ইন্ডিয়ায় যাব আর রান্না করব। আর এখন আমার সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আমি কেবল এখানে আসিনি। আমি এই অ্যাপ্রন জয় করেছি। এই প্রতিযোগিতা জিতেছি। আমার নিজেকে নিয়ে অনেক সন্দেহ ছিল, কিন্তু তিনজন বিচারক আমায় অনেক উৎসাহ জুগিয়েছেন। আজ সব থেকে বেশি খুশি আমার বাবা। উনি আমার এই রান্নার শখের বিরুদ্ধে ছিলেন। আর আজ এটা জয়ের পর সবটা পাল্টে গেল।'