বরকে নিয়ে ঝুরি ঝুরি অভিযোগ মেখলার।
২০২১ সালের সাত পাকে বাঁধা পড়েন গায়িকা মেখলা দাশগুপ্ত। গানের জগতে পরিচিত নাম মেখলা। তবে তাঁর প্রেম হয় কর্পোরেটে কর্মরত অর্কপ্রভ চৌধুরীর। বহু বছর প্রেমের পর হয় বিয়েটা। সম্প্রতি বরকে নিয়ে মেখলা হাজির হয়েছিলেন দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে। আর এই এক বছরেই ঝুরি ঝুরি অভিযোগ। যা শুনে অবাক রচনাও।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রিয়েলিটি শো চর্চায় থাকে বরাবরই। টিআরপিও বেশি হাই। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষদের নিয়ে চলছে এই খেলা। আর বাড়ির মা-বউরাও জমিয়ে উপভোগ করেন সাংসারিক গল্প, জীবনের লড়াইয়ের গল্প, স্বামী-স্ত্রীর খুনশুটি সঙ্গে দিদিদের খেলা ও পুরস্কার জিতে নেওয়া।
১ বছর ২ মাস বিয়ের অভিজ্ঞতা কেমন প্রশ্ন করেন রচনা। যাতে মেখলা জবাব দেন, ‘একসঙ্গে থাকলে না খুঁতগুলো বেশি চোখে পড়ে। আমরা আসলে খুব ভালো বন্ধু। তখন থেকে একে-অপরকে চিনি যখন আমরা কিছুই নয়। তবে এত ঝগড়া হয় আমাদের…’
কীভাবে হয় প্রেমটা? মেখলা জানালেন অর্কপ্রভ শিলিগুড়ির ছেলে আর তিনি বালুরঘাটের। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময় এক বন্ধু এসে মেখলাকে বলে তুই প্রেম করবি? বরের বন্ধু আছে কথা কম বলে, একটু সিরিয়াস। কিন্তু ভালো ছেলে। এরপর মেখলাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় অর্কপ্রভ। একদিন পর তা অ্যাক্সেপ্ট করেন মেখলা। তারপর কথা বলতে বলতে প্রেমের শুরু।
দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এসে অর্কপ্রভর নামে একেবারে অভিযোগের ঝুলি খুলে বসেন মেখলা। দাবি বলে না দিলে বর নাকি কোনও কাজই নিজে থেকে করে না। এমনকী ওয়াশিং মেশিন থেকে জামা বের করে মেলাটাও করে না, ঘরে ফল শেষ হয়ে গেলেও আনে না। আর এসব শুনে বরের জবাব, ‘সেই ২০১৪ সাল থেকে অভিয়োগ চলছে। ৩০১৪ সাল পর্যন্ত চলবে বুঝলে তো!’ তবে মেখলার একটা অভিযোগ মিটিয়ে দেন এদিন মিটিয়ে দেন অর্কপ্রভ। আনরোম্যান্টিক তকম ঘোচাতে দিদির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বউকে প্রপোজও করেন।