জীবন-মৃত্যুর দড়ি টানাটানি শেষ। ওমির লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরক খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। মিঠাইয়ের গোপালের কৃপায় সেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়ও করা হয়েছে। কিন্তু একটি সমস্যা শেষ না হতেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নতুন বিপদ।
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় ওমি। তা জানতে পেরে তাকে খুঁজতে বেরোয় সিদ্ধার্থ। খুঁজেও পায়। মাঝরাস্তায় শুরু হয় হাতাহাতি, মারপিট। আর তখনই আচমকা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ওমি। সিদ্ধার্থের হাতে ওমির বন্দুক ছিল ঠিকই। কিন্তু কী ভাবে গুলি চলল, কে-ই বা গুলি চালাল, তা স্পষ্ট নয়।
ওমির মৃত্যুর জন্য নিজেকে দায়ী করে সিদ্ধার্থ। ধরে নেয়, দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সে-ই মেরে ফেলে ওমিকে। ওমি তার শত্রু হতে পারে। কিন্তু সে মোদক পরিবারের আত্মীয়। পিঙ্কির দাদা। এ সব ভেবেই যেন নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে না সিদ্ধার্থ। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে সে। অপরাধবোধ তাড়া করছে তাকে। ঘুম উড়েছে তার। চোখ বুজলেই সে দেখতে পাচ্ছে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওমির মাটিতে লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য।(আরও পড়ুন: অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেল লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরক! কিন্তু শেষ রক্ষা হল কি? জেনে নিন)
স্বামীকে সাহস জোগাচ্ছে মিঠাই। সিদ্ধার্থ যে কোনও ভাবেই দোষী নয়, সে কথাই নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছে তাকে।(আরও পড়ুন: ওমির হাত থেকে কী ভাবে রক্ষা পাবে 'মনোহরা'? জেনে নিন 'মিঠাই'-এ কী ঘটবে)
আতঙ্ক কাটিয়ে এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি মোদক পরিবার। তারই মধ্যে নতুন বিপদ। 'মনোহরা'য় পুলিশ এল। সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে ওমিকে খুনের অভিযোগ। গ্রেফতার করা হবে তাকে। স্পেশ্যাল ইন্সপেক্টর সুদীপ্ত রায়ের কথা শুনে আকাশ ভেঙে পড়ে সবার মাথায়। স্বামীকে নির্দোষ প্রমাণ করতে কোনও ত্রুটি রাখে না মিঠাই। সিদ্ধার্থ যে আদৌ কিছু করেনি, পুলিশকে বারবার তা বোঝানোর চেষ্টা করে সে।
শেষমেশ কি হাজতবাস হবে সিদ্ধার্থের? নাকি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে সে? এখন সেটাই দেখার।