ধারা আর রুদ্রের বিয়ের স্বপ্ন দেখে মেজাজ হারায় নিপা। তাই নকল পুলিশ সেজে রুদ্র-ধারা ফলন্ত কাজ প্রায় পণ্ড করে দেয় সে। ব্রিগেনজা নামের এক দাগী অপরাধীকে ধরতে ছক কষেছিল মিঠাইয়ের ‘পুলিশ দাদা’ রুদ্র, সেই কাজে তাঁর পার্টনার পুলিশ অফিসার ধারা। সঠিক সময়ে ছদ্মবেশে রেস্তোঁরায়তেও হাজির ছিল রুদ্র-ধারা,তবে আগেই পুলিশ সেজে সেখানে হাজির নিপা। কোনওকিছু না ভেবে অপরাধীর সামনে হাজির সে। আর ননদকে বন্দুকের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখে কোনও কিছু না ভেবে রুখে দাঁড়ায় মিঠাই। এমন জটিল পরিস্থিতিতে কোনওক্রমে স্ত্রী আর বোনকে উদ্ধার করে সিদ্ধার্থ, কিন্তু একচুল এদিক ওদিক হলেই গুলি লাগত হয় মিঠাই নয় নিপার। আর সবটা ঘটেছে নিপার ভুলের জন্য। এতেই চটেছে রুদ্র।
গোটা পরিস্থিতির জন্য সিদ্ধার্থকে কাঠগড়ায় তুলল তাঁরই বন্ধু। রুদ্রর অভিযোগ, নিপাকে একটু বেশিই 'আসকারা' দিয়েছে সিদ্ধার্থ, শুধু তাই নয় নিপার মাথায় এই ‘লাভ ভূত’টাও ঢুকিয়েছে সে। তাই পরোক্ষভাবে গোটা ঘটনার জন্য সিদ্ধার্থই দায়ী। দীর্ঘদিন ধরে সে অপরাধীকে ধরবার ছক কষেছে রুদ্র সে মুহূর্তেই পালিয়ে যেত চোখে ধুলো দিয়ে, এই কথা ভেবেই ক্ষুব্ধ রুদ্র। পাশাপাশি এদিন সিদ্ধার্থর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগও আনল সে। মিঠাইকে বড়দাদার মতোই ভালোবাসে রুদ্র। নিপার শত ভুল মুহূর্তেই ক্ষমা করে দেয় সিদ্ধার্থ, কারণ ও ছোট বোন। অথচ পান থেকে চুন খসলেই মিঠাইয়ের উপর শুধু রাগই দেখায় না সে, বরং শাস্তিও দেয়। সে কথা এদিন মনে করিয়ে দিল রুদ্র। সম্প্রতি মদ্যপ অবস্থায় সাঁড়াশি নিয়ে তোর্সাকে তাড়া করবার জেরে ঠাম্মি আর দাদানকে বলে মিঠাইকে শাস্তির মুখে ফেলেছে সিদ্ধার্থ। একদিন মৌনব্রত পালন করবার কথা ছিল মিঠাইয়ের, যদিও নিপাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের শাস্তি ভুলে কথা বলে ফেলে মিঠাই। যদিও তাতে আফসোস নেই মিঠাইরানির।
এদিন রুদ্রর অভিযোগ শুনে মুখে কুলুপ সিদ্ধার্থের, তবে নিপার হয়ে রুদ্র আর ধারার কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চায় মিঠাই। শাস্তি ভুলে কথা বলে ফেলবার জন্য বড় জা, তোর্সার কাছেও কথা শুনতে হয় মিঠাইকে। এর জন্যও দিদিমণি (তোর্সা)-র কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় মিঠাই। চাপা গলায় সে বলে, ‘দিদিমণি তুমি চ্যালেঞ্জ জিতে গেছো’।
এদিন সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে আনা রুদ্রর অভিযোগ মেনে নিয়েছে মিঠাই ভক্তরাও। পাশাপাশি নিপার সব ভুলকে ছেলেমানুষি আখ্যা দেওয়াটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়, এমনটাই মত তাঁদের।