সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই অভিনেতার ভক্তদের প্রশ্নের মুখে রিয়া চক্রবর্তী। এবং গত ২৭ শে জুলাই সুশান্তের বাবা রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন এই খবর সামনে আসবার পর থেকে যা যা ঘটনাক্রম ঘটেছে-তাতে রিয়ার প্রতি রোষ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। জলেবি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন নেটিজেনরা। এর রোষের আগুনের আঁচ এবার গিয়ে পড়ল মুম্বইয়ের এক আম জনতার উপর। এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লার্ক হিসাবে কাজ করেছেন মায়া নগরী মুম্বইয়ের সেই বাসিন্দা। গত কয়েক দিনে প্রায় ১৫০ টি কলার্সকে ব্লক করতে হয়েছে তাঁকে। অনবরত বেজে চলেছে তাঁর ফোন, আর রিসিভ করলেই অন্য প্রান্ত থেকে অকথ্য ভাষায় উড়ে আসছে গালিগালাজ। কারণ? তাঁর মোবাইল নম্বরের সঙ্গে অদ্ভূত মিল এই ব্যক্তির।
মুম্বই মিররে প্রকাশিত খবর বলছে, সাগর সার্ভের ফোন নম্বের সঙ্গে রিয়ার ফোন নম্বরের একটি সংখ্যার ফারাক রয়েছে। যার জেরে সুশান্ত ভক্তদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। অবস্থা এমনই শোচনীয় যে ভয়ের চোটে ফোন সুইচ অন করছেন না সাগর। তিনি জানান, প্রথমে একটি ফোন আসে এবং রিয়ার কথা জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি 'রং নম্বর' বলে ফোন কেটে দেন। তখন একবারের জন্য তাঁর মাথায় আসেনি ফোনের ওপারের কলার যে রিয়ার খোঁজ করছে তিনি আদতে রিয়া চক্রবর্তী! সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্য মামলার মূল অভিযুক্ত, তথা বলিউড নায়িকা। সাগর আরও জানান, দ্রুত গতিতে ফোনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেগুলি কেটে দিলে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস কল, ভিডিয়ো কল, মেসেজ-আসতে থাকে হু হু করে। ‘আমি বোঝানোর চেষ্টা করি যে আমি রিয়াকে চিনি না, তাঁরা দাবি করে ছবি পাঠাও নিজের..সময় যত এগিয়েছে এই সমস্যা ততই বেড়েছে’, স্বীকারোক্তি সাগরের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাগর সার্ভের দাবি একটি টিভি চ্যানেলে রিয়ার সিডিআর (কল ডিটেলস রেকর্ড) দেখানোর সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে রিয়ার ফোন নম্বরটি সামনে আনা হয়, তারপর থেকেই সমস্যায় মুম্বইয়ের এই আম আদমি।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল রিয়ার পিটিশনের শুনানির রায়। রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো', ‘চূড়ান্ত রাজনীতিকরণ’ - এমনই সব যুক্তি খাড়া করে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলা মুম্বইয়ে স্থানান্তরের আর্জি জানালেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। দীর্ঘ সওয়ালের পরও সর্বোচ্চ আদালত মামলা স্থানান্তর নিয়ে মঙ্গলবার কোনও রায় দিল না। বৃহস্পতিবারের মধ্যে মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষকে নিজেদের লিখিত জবাব জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। আপতত চলতে পারে সিবিআই তদন্ত।