বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Nawazuddin Siddiqui: 'নওয়াজ তো ভাইঝিকেও পছন্দ করেন না, মানুষ হিসাবে ও খুব খারাপ', বিস্ফোরক ভাই শামস..

Nawazuddin Siddiqui: 'নওয়াজ তো ভাইঝিকেও পছন্দ করেন না, মানুষ হিসাবে ও খুব খারাপ', বিস্ফোরক ভাই শামস..

শামসউদ্দিন-নওয়াজউদ্দিন-আলিয়া 

শামস নবাব সিদ্দিকির কথায়, ‘আমি জানি নওয়াজ একজন অসামান্য অভিনেতা, উনি আমাদের জন্য অনেক করেন, সম্পত্তি কেনেন, তবে মানুষ হিসাাবে উনি মোটেও ভালো নন। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর উনি অনেককেই ত্যাগ করেছেন। আলিয়া আর আমি তার অন্যতম উদাহরণ। আর ওর মধ্যে এই পরিবর্তন হয়েছিল ২০১০ সালের পর থেকে।’

'একে রামে রক্ষে নেই সুগ্রীব দোসর'। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তির ঝড় থামার বিন্দুমাত্র নাম নেই। স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকীর সঙ্গী আইনি লড়াই চলছে, তারই মধ্যে নওয়াজের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তাঁর নিজের ভাই। অভিনেতার দুবাই-এর বাড়ির পরিচারিকা নওয়াজকে ভালো মানুষ বলায় কিছুদিন আগেও শামস সিদ্দিকি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লেখেন, ‘আর কতজনকে কিনবে তুমি! ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স না শেষ হয়ে যায়।’ এবার আরও একবার নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ভাই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শামস নবাব সিদ্দিকি বউদি আলিয়ার পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘বিয়ের আগে নওয়াজ ও আলিয়া ভালো বন্ধু ছিলেন। নওয়াজের কারণে অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন আলিয়া। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই সহ্যে সীমা আর থাকে না।তবে আলিয়া অনেক কিছুই সহ্য করেছেন, অনেক কষ্ট পেয়েছেন। আলিয়া, আমি আর নওয়াজ বিয়ের আগে থেকেই বন্ধু ছিলাম।’ শামস নবাব সিদ্দিকির কথায়, ‘আমি জানি নওয়াজ একজন অসামান্য অভিনেতা, উনি আমাদের জন্য অনেক করেন, সম্পত্তি কেনেন, তবে মানুষ হিসাাবে উনি মোটেও ভালো নন। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর উনি অনেককেই ত্যাগ করেছেন। আলিয়া আর আমি তার অন্যতম উদাহরণ। আর ওর মধ্যে এই পরিবর্তন হয়েছিল ২০১০ সালের পর থেকে। অভিনেতা হিসাবে নওয়াজ খ্যাতি পাওয়ার পর থেকে।’

ভাই নওয়াজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শামসউদ্দিন সিদ্দিকি বলেন, ‘প্রথম দিকে আমি টিভি ও শোয়ের পরিচালনা করেছি। পরও আমায় ও ওঁর সঙ্গে কাজ করতে বলেন। বলেছিলেন উনি নিজের লোকজনের সঙ্গে কাজ করতে চান। সত্যি কথা বলতে কি আমি আমার বোলে চুড়িয়া ছবিতে নওয়াজকে নিতে চাইনি। প্রযোজক আমার চাপ দেন। তবে ছবিটির যখন প্রায় শেষ সম্পাদনার কাজ চলছে, প্যাচওয়ার্কের জন্য কিছু শ্যুটের দরকার, তখন নওয়াজ হঠাৎ বলেন, তিনি ঠিকঠাক টাকা পাননি তাই আর কাজ করবেন না। মাঝপথে ছবি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। নওয়াজ আমার ছবির প্রচারেও অংশ নেননি। আমি ওকে অনেক কিছুই দিয়েছি, পরিবর্তে কিছুই পাইনি। ছবিটটি আটকে গিয়েছিল। ৪৬ বছর বয়স পর্যন্ত আমার কোনও ব্যক্তিগত জীবন ছিল না, নওয়াজের সঙ্গে সমস্যার কারণে। প্রায় ৭-৮ মাস যোগাযোগ ছিল না ওঁর সঙ্গে। পরে গ্রামের বাড়িতে সম্পত্তি নিয়ে কিছু আত্মীয়র সঙ্গে বিবাদ হলে, নওয়াজ ওই বিতর্কিত সম্পত্তি কিনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে উনি আমার মেয়েকেও পছন্দ করেন না। বাড়ির অন্যরা যাতে আমার মেয়ের দেখাশোনা না করেন, তেমনই নির্দেশ দেন। মানুষ হিসাবে ও বিশেষ সুবিধার নন।’

নওয়াজ ও তাঁর মা, নওয়াজের স্ত্রী আলিয়াকে অস্বীকার করা, দ্বিতীয় সন্তানকে অবৈধ বা প্রসঙ্গে শামাস বলেন, ‘মানুষ তাঁর চারপাশের পরিবেশ অনুযায়ী কথা বলেন। আমার মাও নিশ্চয়ই রাগের মাথায় একথা বলেছেন। উনি হয়ত তাই ছেলের কথায় চলছেন।’

 

বন্ধ করুন