দিনকয়েক আগেই ‘হইচই’-তে মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘দার্জিলিং জমজমাট’। ছবি নিয়ে আপাতত মিশ্র প্রতিক্রিয়া দর্শকমহলে। কেউ বলছেন সৌমিত্রর পরে সেরা ‘ফেলুদা’ টোটা রায়চৌধুরী। তো কারও মতে, টোটা বড় বেশিই নরম। ফেলুদার চরিত্রের মধ্যে যে ব্যক্তিত্ব আছে তা টোটার মধ্যে মিসিং।
তবে এসবের মাঝেই নজর কাড়ছে ‘ফেলুদা’ নিয়ে হওয়া একটি পোস্ট। যেখানে ওয়েব সিরিজের মধ্যে থাকা এক বিশেষ চরিত্র নিয়েই পোস্ট করেছেন তিনি। যাকে মাত্র কয়েক সেকেন্ড দেখা গিয়েছে। তবে এই সিরিজের সহ-পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। আর সঙ্গে বিশেষত্ব হল ২০১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিলেন। তাও আবার আর্টস স্ট্রিমে। নাম গ্রন্থন সেনগুপ্ত।
তৃণা চৌধুরী নামে এক মহিলা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গ্রন্থন সেনগুপ্তকে আপনাদের মনে আছে? আমার তো বেশ মনে আছে। আমার ঠিক একটা ব্যাচ আগে (২০১৮) উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হন তিনি। এবার কথা হচ্ছে বছর বছর তো অনেকেই প্রথম হয়, তাহলে একজনকে আলাদা করে মনে রাখার কারণ? কারণ হল, কলা বিভাগ-আর্টস স্ট্রিম। মানে এখনও যেটাকে মনে করা হয় মাঝারি বা খারাপ ধরনের ছেলেমেয়েদের জন্য, সায়েন্স না-পাওয়াদের জন্য। ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজি ইত্যাদি পরে কী বা হবে ভবিষ্যতে ইত্যাদি ইত্যাদি… কলা বিভাগ-আর্টস স্ট্রিম থেকে এইচএসে প্রথম হন গ্রন্থন। ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি একটু ভালো করে দেখলে একটি ছোট চরিত্রে এবং ক্রেডিটসে এ সহ-পরিচালকের নামের মধ্যে পাওয়া যাবে গ্রন্থনের নাম।’

হঠাৎ কেন এই নিয়ে পোস্ট করলেন তাও বুঝিয়ে বললেন ওই মহিলা। আসলে সায়েন্স নিয়ে পড়ার দৌড়ে, ভালো ফলাফল করার দৌড়ে অনেকসময় পছন্দের দিকেই খেয়াল রাখা হয়ে ওঠে না শিক্ষার্থীদের। তৃণা লেখেন, ‘আজকে এসব লেখার কারণ কিছুই না, শুধু একটা মানেহীন র্যাট রেসের বাউন্ডারির বাইরে থাকা অল্প কয়েকজনকে মনে রাখতে ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে এমন একটা সময়ে মনে রাখতে যখন মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে কৃতীদের পরিবার গর্ব করে জানান দেন যে, তাদের ছেলেমেয়েদের কোনও বন্ধু নেই। তারা বাইরে বেরোয় না। তারা কেবল পড়ে, পড়ে আর পড়ে। প্রথম হয়, কিন্তু মানুষ হয় কি? ভালো থাকে কি?’