মঙ্গলবার ১৪ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ৮৪ বছরের জন্মদিন। একসময় টলিউড আর বলিউডে সমানতালে কাজ করেছেন তিনি। উত্তমকুমার, তরুণকুমার, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, শমিত ভঞ্জ থেকে শুরু করে রাজ কপূর, ধর্মেন্দ্র, মনোজ কুমার, মালা সিনহা, আশা পারেখ, ওয়াহিদা রেহমানদের সাথে ছিল ওঠাবসা। এমনকী, জন্মদিনও ধুমধাম করে পারন করতে ভালোবাসতেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। প্রথম স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের হাতের বিউলির ডাল, আলু পোস্ত, ঝাল ঝাল ডিমের কষা, পাঁঠার মাংস খেতেন কব্জি ডুবিয়ে।
আনন্দবাজার অনলাইনের হয়ে বাবার জন্মদিনে কলম ধরেছেন পল্লবী। বাবাকে নিয়ে না জানা কথা তুলে ধরেছেন সেখানেই। জানিয়েছেন, বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর কেমন অনুভূতি হয়েছিল তাঁর আর দাদা প্রসেনজিতের।
পল্লবী লিখেছেন, ‘মুম্বইয়ে যত দিন বাবার সংসার হয়নি আমরা সেখানে গিয়ে তাঁর জন্মদিন উদ্যাপন করতাম! বাবাকে কাছে পেতাম। সেটাও বন্ধ! মনখারাপের চোটে শেষে বাবাকে পোস্ট কার্ডে ফুল এঁকে পাঠাতে শুরু করলাম।’ অভিনেত্রী নিজের লেখায় জানিয়েছেন, কখনও তিনি বাবাকে জিজ্ঞেস করেননি সেই পোস্টকার্ড পেয়েছেন কি না সেই ব্যাপারে। ভয় হত, পাছে বাবা উত্তর দেয়, ‘পাইনি’ বা ‘উত্তর দেওয়ার সময় হয়নি’।
পল্লবী আরও জানিয়েছেন বাবার দ্বিতীয় বউ ‘ইরা আন্টি’ বা তাঁদের মেয়ে ‘সম্ভাবী’কে নিয়ে মনে কোনও গোপন হিংসে তাঁর নেই। কারণ তিনি জানেন ওঁরা তাঁর বাবার ভালোবাসা!
সঙ্গে ৫৬ বছর বয়সে এসেও নিজের অবিবাহিত থাকার কারণ জানালেন পল্লবী। লিখেছেন, ‘‘বাবা, তুমি বহু বার অনুযোগ করেছ, ‘মাকু আর কবে তুই ঘরে-বরে থিতু হবি?’ আমি আজ বলি, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আকর্ষণে আমি পল্লবী চট্টোপাধ্যায় এখনও বুঁদ। তোমার মতো সুপুরুষ আর খুঁজেই পেলাম না!’’