বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় YES Bank-এর লেনদেনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গভর্নরের দাবি করেন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহত্তর পর্যায়ে এই YES Bank সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঘটনার জেরে মুশকিলে ইয়েস ব্যাঙ্কের কয়েক লক্ষ গ্রাহক। ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী পায়েল রোহতগির বাবা শশাঙ্ক রোহাতগিও। আহমদাবাদের এক ইয়েস ব্যাঙ্ক শাখায় দু কোটি টাকা জমা রয়েছে তাঁর। সেই ব্যাপারেই চিন্তিত পায়েল। এই নিয়ে শুক্রবার একটি টুইট করেন পায়েল। কিন্তু পরে সেই টুইট ডিলিট করে দেন অভিনেত্রী। কেন?
বরাবরই মোদির প্রশংসক পায়েল। নোটবন্দি থেকে সিএএ-সব ইস্যুতে নমোর হয়ে গলা ফাটিয়েছেন পায়েল। লিবারেলদের হামেশাই নিশানায় নেন এই নায়িকা। তবে বিপাকে পড়ে মোদির বিরুদ্ধে টুইট করে বসলেন পায়েল।
টুইটে কী লিখেছিলেন পায়েল?
‘রামজি, ইয়েস ব্যাঙ্কের কাজ দ্রুত শুরু করিয়ে দিন। PMOIndia এবং HMOIndia এটা ঠিক নয়। আমার বাবার টাকা আটকে রয়েছে। এটা অর্থনৈতিক উন্নয়নের নির্দশন নয়’!
এই টুইটটি শীঘ্রই ডিলিট করে নিজের বাবার টাকা আটকে থাকার কথাটি মুছে দিয়ে পুনরায় টুইটটি করেন পায়েল।
নেটিজেনদের নজর এড়ায়নি এই ঘটনা। এরপরই নেটিজেনদের নিশানায় চলে আসেন পায়েল। কেউ তো এমনটাও লিখে বসেন, 'যখন ভক্তরা নিজের জ্বালানো আগুনেই জ্বলে যায়! টুইটটা ডিলিট করেছে কিন্তু ব্যাথা তো প্রচুর হয়েছে'।
'হিন্দু মুসলীম ভুলে গিয়ে হঠাত্ করে অর্থনীতির কথা বুঝতে পারছো? আপনার বাবার চিন্তায় দেশের বাবাকে অভিযুক্ত করছো'?
এর শুক্রবার নিজের সাফাই দিয়ে পায়েল ফের একবার লিবারেলদের নিশানায় নিলেন পায়েল। তিনি বলেন,'.... আমি বেশ কয়েক মাস ধরেই ইয়েস ব্যাঙ্কের ঘটনাটি ফলো করে আসছি। কারণ আমার বাবার সেখানে অ্যাকাউন্ট রয়েছে।রাণা কাপুরকে বার করে দেওয়া হোক বা উত্তম আগারওয়ালের পদত্যাগ ইয়েস ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা আম জনতাকে ভুল পথে চালিত করছিল। আরবিআই ঠিক করেছে। যা হয়েছে সেটা ঠিক হয়েছে। আমি ভারতীয় হিসাবে আমার প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দিয়েছি এবং আমার পূর্ন আস্থা রয়েছে তাঁর উপর'।