৫ বড়দিন উপলক্ষে বেশ বড় লড়াই চলছে বড় পর্দায়। কলকাতার বেশিরভাগ হল দখলে রেখেছে শাহরুখ খানের ডাঙ্কি আর দক্ষিণের সুপারস্টার প্রভাসের সালার। তবে এসবেরই মাঝখানে বাংলায় ভালো ব্যবসা করছে মিঠুন আর দেবের সিনেমা।
বাংলায় বাংলা সিনেমা হল পায় না বলিউডে বড় কোনও রিলিজ থাকলে একথা প্রমাণ হয়েছে আগেই। ডাঙ্কি আর সালার আসায় ধরা পড়ল একই চিত্র। হল দখলে অনেক পিছিয়ে প্রধান আর কাবুলিওয়ালা। তবে দুটি সিনেমাই মন জয় করে নিল সিনেপ্রেমী বাঙালির।
একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কাবুলিওয়ালা ৫ দিনে ১ কোটির কাছাকাছি ব্যবসা করেছে। প্রধানের টিমের তরফে সম্প্রতি একটি পোস্টার শেয়ার করা হয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে, ছবি ঘরে তুলে ফেলেছে ইতিমধ্যেই দেড় কোটি। যা নিঃসন্দেহে বাংলা ছবি হিসেবে নেহাত ফেলনা নয়। সঙ্গে প্রধানকে নিয়ে দর্শক ও চলচ্চিত্র সমালোচকদের থেকে আসা পজিটিভ রিভিউ দেখে আশা করা যাচ্ছে, দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে হল বাড়বে প্রধানের। আর এর আরও আরেকটা বড় কারণ নিসন্দেহে শাহরুখের ডাঙ্কি সেভাবে ছাপ ফেলতে পারছে না দর্শক মনে। তাই শাহরুখের সিনেমার হাতে থাকা হলের একটা বড় অংশ যাবে দেবের ছবির কাছে।
পিছিয়ে নেই কাবুলিওয়ালাও। রবি ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে এই সিনেমার ঘোষণা যবে থেকে হয়েছে, তবে থেকেই একটা উন্মাদনা দর্শকদের। রহমতের চরিত্রে মিঠুন আর মিনির চরিত্রে অনুমেঘা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে ভালোবাসা। বড়দিনে দুটো বাংলা ছবির কপালই আসলে বেশ ভালো!
এদিকে আবার সালার আর ডাঙ্কির লড়াইয়ে অনেকটা পিছিয়ে কিং খানের সিনেমা। বাহুবলী ২-এর পর সেভাবে সাফল্য আসেনি প্রভাসের ঝুলিতে। আদিপুরুষ ফ্লপ হওয়ায় কম ট্রোল হয়নি। ফলত, সালার স্বস্তি এনে দিয়েছে দক্ষিণের সুপারস্টারকে। এদিকে শাহরুখের ক্ষেত্রে ছবিটা উলটো। বছরে দু দুটো অ্যাকশন ছবি পাঠান আর জওয়ান দিয়ে ১০০০ কোটির উপর ঘরে তুলেছেন কিং খান। কিন্তু সেই হিসেবের ধারেকাছে যেতে পারবে না ডাঙ্কি।
মুক্তির দিন প্রায় ৩০ কোটির ব্যবসা করেছিল ডাঙ্কি। ধীরে ধীরে কমতে কমতে মঙ্গলবার শাহরুখ খানের ছবি মাত্র ৯.০৪ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত ডাঙ্কি ভারতীয় বক্স অফিসে মোট ১৩৮.৯৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ছয় দিনে। বিশ্বজুড়ে মোটের উপর ২৫০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে রাজকুমার হিরানির সিনেমা। অন্য দিকে, একদিন পর মুক্তি পাওয়া সালারের আয় ২৮০ কোটি।