বাবিন আর গুনগুনের বিয়ের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি খড়কুটো ধারাবাহিকের ভক্তরা। এরমাঝেই গুনগুন তো রিয়েল লাইফেও সাত পাক ঘুরে নতুন জীবন শুরু করেছেন। এবার পালা তাঁর আদরের পুুটুপিসি মানে অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্তর। খড়কুটো ধারাবাহিকের গল্পে সোমবারের এপিসোডে দর্শক দেখেছে ভূতের ভয়ে গুনগুন-বাবিনের কাছাকাছি আসা। এবার খড়ুকুটোর গল্পের মেইন ফোকাস হতে চলেছে পটুপিসির বিয়ে। অর্ধেক জীবন পেরিয়ে, অবশেষে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলছে পুটুপিসি, স্বভাবতই দারুণ খুশি সাজি, চিনি, বাবিন, গুনগুনরা।
প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠানও শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। আর সেই ঝলক প্রকাশ্যে আনলেন পুটুপিসির আদুরে দুই ভাইঝি সাজি আর চিনি। অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মিত্র ও সোনাল মিশ্রা সেই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন নিজেদের ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে। যদিও সেই ছবিতে দেখা মেলেনি, তাঁদের সব বদমাইশির ভাগীদার গুনগুনের।
হলুদ রঙের শাড়িতে ভারী মিষ্টি লাগছে অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্তকে। রিয়েল লাইফে আইনি মতেই বিয়ে সেরেছিলেন অভিনেত্রী, তাই পর্দায় প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠানের আনন্দ চেটেপুটে নিচ্ছেন তা বলাই যায়। অন্যদিকে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মিত্রকেও পিসির বিয়েতে পাওয়া গেল হলুদ শাড়িতে, পর্দার চিনি অবশ্য সাদা-হলুদ সালোয়ারেই সাজলেন পুটুপিসির বিয়েতে। সাজি আর চিনি তো সময় নষ্ট না করে, শ্যুটিংয়ের ফাঁকে মিষ্টি রিল ভিডিয়োও বানিয়ে ফেলেছেন।
মেঘমালা (পুটুপিসি) আর সুকল্যাণের এই বিয়ে নিয়ে গুনগুন-সৌজন্যরা দারুণ খুশি হলেও সুকল্যাণের বাড়ির মেজাজটা কিন্তু একদম উলটো। ঝুম একেবারেই খুশি নয়, এই বিয়ে নিয়ে। মা, দেবলীনা (কন্যা কুমারী)-র কাছে সে অভিযোগও জানিয়েছে এত বছর ধরে তাঁর আসল পরিচয় লুকিয়ে রাখার জন্য। যাঁকে এতদিন নিজের বাবার জায়গায় দেখে এসেছে, তাঁকে অন্য কারুর সঙ্গে ঘর বাঁধতে দেখে ঝুম কিন্তু বেশ মনমরা। তবে কী ঝুম কোনও বাধা সৃষ্টি করবে এই বিয়েতে? সেই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে দর্শকদের।