হঠাৎ করেই দুঃসংবাদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্তদের জন্য। পায়ে চোট জি বাংলার ‘দিদি’র। কিন্তু কথায় আছে দ্য শো মাস্ট গো অন। তাই পায়ে চোট নিয়েই কর্তব্যে অবিচল রচনা। ঠিক সময়ে হাজির ছিলেন ‘দিদি নম্বর ১’-এর সেটে। চ্যানেল সামনে এসেছে ‘দিদি নম্বর ১’-এর নতুন প্রোমো, সেখানেই দেখা গেল চেয়ারে বসে রয়েছেন রচনা। তা বেশ অন্যরকম ছবি দর্শকদের কাছে। এতদিন দাঁড়িয়েই রচনাকে শো সঞ্চালনা করতে দেখেছে সব্বাই। তাহলে? হলটা কী তাঁর।
রবিবার, ১৪ই মে মাদার্স ডে। আর সেইদিন ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে মায়ের সঙ্গে হাজির হচ্ছেন ‘মুকুট’ ধারাবাহিকের রায়ান অর্থাৎ অভিনেতা অর্ঘ্য মিত্র। সেখানেই রায়ানকে বলতে শোনা গেল, ‘মায়ের ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হবেন,সেটা হয়নি।’ ছেলে তাঁর স্বপ্নপূরণ করছে, জানালেন অর্ঘ্যর মা মহুয়া মিত্র। অপর টেলি তারকা গৌরব ঘোষালের মা রচনার কাছে জানতে চান এইবার তাঁর মাদার্স ডে-র সেলিব্রেশনের প্ল্যান কী? হাসি মুখে তিনি বলেন, ‘আজ আমি বাড়িতে পড়ে গেছি। তারপর ছেলে যেভাবে আমার টেক-কেয়ার করেছে, সেটাই আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল’।
অভিনয় থেকে আপতত নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর একমাত্র ছেলে রৌনক (ওরফে প্রনীল)-কে বড় করে তুলতে অভিনয় থেকে খানিক ব্রেক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নায়িকার। তবে টেলিভিশন সঞ্চালিকা হিসাবে জারি রেখেছেন কাজ। বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম পুরোনো আর হিট নন-ফিকশন শো ‘দিদি নম্বর ১’-এর ‘পোস্টার গার্ল’ তিনি। এই শো-এর বাইরে পুরো সময়টাই ছেলের জন্য উৎসর্গ করেছেন রচনা। রচনা ও তাঁর স্বামী প্রবাল বসুর একমাত্র ছেলে প্রনীল। ডিভোর্সি না হলেও একছাদের তলায় থাকেন না স্বামী-স্ত্রী।
সিনেমার কারণে রচনা ঠিক যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তার থেকে বহুগুণ প্রচারের আলোয় এসেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদি নম্বর ১-এর সঞ্চালক হিসেবে। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারাও ভালোবাসা উজার করে দেয় তাঁদের প্রিয় দিদিকে। প্রায় ১৩ বছর ধরে বাংলা টেলিভিশন কাঁপাচ্ছে জি বাংলার হিট শো ‘দিদি নম্বর ১’।
সঞ্চালনার পাশাপাশি আপাতত রচনা একজন সফল ব্যবসায়ীও বটে। রমরমিয়ে চলছে তাঁর শাড়ির ব্যবসা। কাজের ফাঁকে ছেলের সঙ্গে সময় কাটান অভিনেত্রী। ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন ছেলে রৌনাকের সঙ্গে। ডিভোর্সি না হলেও দীর্ঘদিন আগেই স্বামীর থেকে আলাদা হয়েছেন রচনা। একার হাতেই ছেলেকে মানুষ করছেন তিনি। তাঁকে বড় পর্দায় দেখতে মুখিয়ে রয়েছে অনুরাগীরা।