রশ্মিকা মন্দানার ভুয়ো ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড়া সোশ্যাল মিডিয়া। দিল্লির মহিলা কমিশন নোটিশ পাঠানোর পরই এফআইআর জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। ভাইরাল হওয়া ভুয়ো ভিডিয়োটি ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। AI-এর সাহায্য নিয়ে তাঁর মুখকে ডিজিট্যালি বদলে রশ্মিকার মুখ ব্যবহার করা হয়েছে।
‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো আপলোডের মূলে রয়েছে কে, ইতিমধ্যে FIR দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। শুধু তাই নয়, ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটির URL চেয়ে Meta-কে চিঠি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। রশ্মিকা মন্দানার ভুয়ো ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন এমন ব্যক্তিদের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনস ইউনিটের ডিসিপি হেমন্ত তিওয়ারি জানিয়েছেন, ‘ভুয়ো ভিডিয়োটি যে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত হয়েছে সেটির URL ID চেয়ে Meta-কে আমরা চিঠি দিয়েছি। আমরা এটির প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণও শুরু করেছি’। আরও পড়ুন: ‘বস লেডি’! নিজেই লাম্বোরগিনি চালিয়ে শিল্পার দীপাবলি পার্টিতে হাজির শ্রদ্ধা
দিল্লির মহিলা কমিশন নোটিস পাঠানোর পর এফআইআর জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি ও ৬৬ই ধারায় জারি করা হয়েছে অভিযোগ। অভিনেত্রীর ওই ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো নেটদুনিয়ার পাতায় ছড়িয়ে পড়ার পর কড়া আইনি পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর অনুরাগী থেকে বিনোদন জগতে তাঁর সহকর্মীরাও। সেই তালিকায় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে বিজয় দেবেরাকোন্ডা, নাগা চৈতন্যের মতো তারকারা।
প্রাথমিক ভিডিয়োটি মূলত ৮ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছিল, যেখানে জারা প্যাটেল নামে একজন মহিলাকে দেখা গিয়েছে। কে এই জাল ভিডিয়োটি তৈরি করেছে এবং তাঁদের উদ্দেশ্যই বা কী ছিল তা এখনও জানা যায়নি।
ডিপফেক ভিডিয়োটি দেখে নিজেও খুব বিরক্ত জারা পটেল। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এ বিষয় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘হ্যালো, আমার নজরে এসেছে, কেউ আমার ভিডিয়ো নিয়ে একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীর মুখ ব্যবহার করে একটি ডিপফেক ভিডিয়ো তৈরি করেছে। ডিপফেক ভিডিয়োর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয় আমি খুব বিরক্ত। আমি সেই নারী ও মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন, যাঁদেরকে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের রাখার ব্যাপারে আরও বেশি ভয় থাকতে হয়। অনুগ্রহ করে এক ধাপ পিছিয়ে যান এবং আপনি ইন্টারনেটে যা দেখছেন তা যাচাই করুন। নেটদুনিয়ায় সবকিছু বাস্তব নয়’
এ বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে রশ্মিকা লিখেছিলেন, ‘অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া নিজের ডিপফেক ভিডিয়ো সম্পর্কে কথা বলতে হচ্ছে, এটা শেয়ার করতে সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে। এইরকম কিছু সত্যিই, অত্যন্ত ভয়ের শুধু আমার জন্যই নয়, আমাদের প্রত্যেকের জন্যও যারা আজ প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে এমন ক্ষতির ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি’।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘একজন মহিলা এবং একজন অভিনেত্রী হিসাবে, আমি আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং শুভাকাঙ্খীদের জন্য কৃতজ্ঞ যারা আমার সুরক্ষা এবং সমর্থন নিয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। আমি যখন স্কুল বা কলেজে ছিলাম তখন যদি আমার সঙ্গে ঘটত তাহলে কীভাবে মোকাবিলা করব সেটা আমার কাছে কল্পনার বাইরে ছিল’। আরও লিখেছেন, ‘আমাদের এই ধরনের পরিচয় চুরির থেকে প্রভাবিত হওয়ার আগে আমাদের একটি সম্প্রদায় হিসাবে এবং তৎপরতা নিয়ে এটির সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে’।