সুশান্ত কাণ্ডের পটভূমিকায় চাপানউতোর এখনও অব্যাহত। তবে ইতিমধ্যেই ডক্টর সুধীর গুপ্তর তক্তাবধানে সিবিআই নিযুক্ত এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্যানেল জানিয়ে দিয়েছে , খুন নয় , আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেই রিপোর্টকে ভুয়ো দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুশান্তের পরিবারের তরফে নিযুক্ত আইনজীবী বিকাশ সিং। আবেদন করেছেন নতুন রিপোর্টেরও।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর এইমসের ছয় ফরেনসিক চিকিৎসকের কমিটির রিপোর্ট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে জমা পড়ে। সেই রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয় , গলায় ফাঁস লাগানোর দরুন আঘাত ব্যতীত প্রয়াত অভিনেতার শরীরে আর কোথাও কোনও ক্ষত চিহ্ন মেলেনি। এমনকি শরীরে কোনও মাদক বা বিষাক্ত ক্ষতিকর পদার্থেরও কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কোথাও কোনও ধস্তাধস্তির প্রমাণ না মেলায় মনে করা হচ্ছে , খুন নয় , আত্মঘাতী হয়েছেন অভিনেতা।
কিন্তু রিপাবলিক টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিকাশ বাবু জানান সুশান্তের বাবা কে কে সিং রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পরেই তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন ডক্টর গুপ্ত। সেদিন সত্যের উন্মোচনের দাবি জানিয়ে ঘটনাস্থলে অভিনেতার দিদি মিতুর তোলা বেশ কিছু ছবি তাঁকে পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী। সেই ছবি দেখা মাত্রই মুহূর্তের মধ্যে ডক্টর গুপ্ত জানান , এটা কখনোই আত্মহত্যা হতে পারে না ,আমি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়েছে সুশান্তকে। কিন্তু আজকের পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে উভয়ের টেলিফোনিক কথপোকথন রেকর্ড না করে রাখার জন্য আক্ষেপ ঝরে পড়ে বর্ষীয়ান আইনজীবীর কণ্ঠে। তবে তাঁর আশা ,এই নিয়ে তদন্ত হলে সত্যের উন্মোচন হবেই।
ইতিমধ্যেই এইমস এর রিপোর্টে অসঙ্গতি দাবি করে সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছেন আইনজীবী। ডক্টর গুপ্তের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।