বিগ বসের নতুন সিজন আগের বছরের চেয়ে বেশ কিছুটা ঠান্ডা। অন্তত প্রথম সপ্তাহের টিআরপি রেটিং তাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত বছরের বিজয়ী সিদ্ধার্থ শুক্লাকে দিয়ে দর্শক টানার অপ্রাণ চেষ্টা করেছে কালার্স ও ক্রিয়েটিভরা। তবে নতুন প্রতিযোগীদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজনই বিনোদনের নিখাদ রসদ দিতে সফল হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বিগ বস থেকে বিদায় নিল শেহজাদ দেওল, সূত্রের খবর শোয়ের সবচেয়ে কম দামী প্রতিযোগী ছিল সে। বিগ বস সিজন ১৪-য় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা রুবিনা দিলাইকই এই মরসুমের সবচেয়ে বেশি দামি প্রতিযোগী।
খবরি'র সূত্র অনুযায়ী প্রতিযোগিরা বিগ বসের ঘরে কাটানোর জন্য সপ্তাহ প্রতি আয় করছে-
রুবিনা দিলাইক- ৫ লক্ষ
জসমিন ভসিন- ৩ লক্ষ
সারা গুরপাল- ২ লক্ষ ( বাদ পড়েছেন প্রথম সপ্তাহে)
নিশান্ত সিং মলখানি- ২ লক্ষ
এজাজ খান- ১.৮ লক্ষ
অভিনব শুক্লা- ১.৫ লক্ষ
পবিত্র পুনিয়া- ১.৫ লক্ষ
নিকি তম্বোলি- ১.২ লক্ষ
রাহুল বৈদ্য- ১ লক্ষ
জান কুমার শানু- ৮০ হাজার
শেহজাদ দেওল- ৫০ হাজার ( বাদ পড়েছেন দ্বিতীয় সপ্তাহে)
অন্যদিকে মাত্র দু সপ্তাহ বিগ বসের ঘরে কাটানোর জন্য সিনিয়র তিন প্রতিযোগী কত টাকা পটেকে পুরেছে জানতে চোখ কপালে উঠবে। বুধবারই বিগ বসের ঘরে তিন সিনিয়র- সিদ্ধার্থ শুক্লা, হিনা খান ও গওহর খানের দু-সপ্তাহের সময়সীমা পূর্ণ হয়েছে।
সিদ্ধার্থ- ৩২ লক্ষ (প্রতি সপ্তাহে)
হিনা খান- ২৫ লক্ষ (প্রতি সপ্তাহে)
গওহর খান- ২০ লক্ষ (প্রতি সপ্তাহে)
প্রতি সিজনে শোয়ের হোস্ট সলমন খানের পারিশ্রমিক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। তবে এই সিজনে করোনার জেরে পারিশ্রমিক কমানোর কথা বলেন সলমন নিজে। ভাইজান বলেন- ‘আমি আনন্দের সঙ্গে পে-কাট করাতে রাজি আছি, যাতে অন্য সকলে সঠিক পরিমাণে পারিশ্রমিক পায়’। শোয়ের লঞ্চ ইভেন্টে প্রযোজক সংস্থা এন্ডামল ইন্ডিয়ার সিইও অভিষেক রেগে'কে এই কথা জানান সলমন খান।
সলমন এ কথাও জানান করোনার সময়ও বিগ বস শো করতে রাজি হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল এই শোয়ের সঙ্গে বহু মানুষের রুজি-রুটি জরিয়ে। সেটা কোনওভাবে আটকে যাক এমনটা চান না তিনি।