বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Aindrila-Sabyasachi: ভালোবাসা স্মৃতিতে থাকুক, ইনস্টাগ্রামও ডিঅ্যাক্টিভেট করলেন, কেমন আছেন সব্যসাচী

Aindrila-Sabyasachi: ভালোবাসা স্মৃতিতে থাকুক, ইনস্টাগ্রামও ডিঅ্যাক্টিভেট করলেন, কেমন আছেন সব্যসাচী

ফেসবুকের পর ইনস্টাগ্রাম 'ডিঅ্যাকটিভেট' করলেন সব্যসাচী

Aindrila-Sabyasachi: ফেসবুকের পর ইনস্টাগ্রামও ডিঅ্যাক্টিভেট করলেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলার মৃ্ত্যুর খবর আসার পরই রবিবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট করেছিলেন ‘বামাক্ষ্যাপা’ অভিনেতা।

চলে গিয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। নিকটজনেদের কাছে রেখে গিয়েছেন একরাশ স্মৃতি। অভিনেত্রীর পরিবারে একরাশ শূন্যতা। আর সব্যসাচী চৌধুরী? যাঁকে ঘিরে সমস্তটা ছিল ঐন্দ্রিলার! এমনকি অভিনেত্রীর শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এখনও জ্বলজ্বল করছে সব্যসাচীর সঙ্গে ছবি। 

ফেসবুকের পর ইনস্টাগ্রামও ডিঅ্যাক্টিভেট করলেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলার মৃ্ত্যুর খবর আসার পরই রবিবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছিলেন ‘বামাক্ষ্যাপা’ অভিনেতা। নিত্যদিন যাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে ফেসবুকে আপডেট দিতেন, সেই মানুষটাই তো নেই। মায়ার বাঁধন ছেড়ে সে অনেক দূরে। সমস্ত স্মৃতি মুছতে দিয়ে কি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরছেন সব্যসাচী?

‘আমার বেঁচে থাকার কারণ’ সঙ্গে জুড়েছেন ভালোবাসার ইমোজি। সব্যসাচীর সঙ্গে হাসিমাখা ছবিই ছিল ইনস্টাগ্রামে শেষ পোস্ট ঐন্দ্রিলার। ২০ দিনের লড়াইয়ের পর হাওড়ার বেসকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। ফেসবুকের শেষ পোস্টে সব্যসাচী জানিয়েছিলেন, ‘নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না’। এর একদিন পরে অভিনেতা নভেম্বর মাসের সব পোস্ট মুছে দেন। 

আরও পড়ুন: বলিউডে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ, দীপিকাকে নায়িকা হিসেবে চান বাংলাদেশের হিরো আলম

১ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর। হাসপাতালের বিছানায় টানা ২০ দিনের লড়াই শেষ। রবিবার আচমকা খবর আসে, দুপুর ১২টা ৫৯ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অভিনেত্রী। কত স্মৃতি, কত ভালোবাসা ছড়িয়ে রেখে গিয়েছেন আপনজনেদের কাছে। 

এখন কেমন আছেন সব্যসাচী চৌধুরী? অভিনেতার ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর থেকে একেবারে চুপচাপ হয়ে গিয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। কারও সঙ্গেই খুব একটা কথা বলছেন না। নিজের পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। মাঝেমধ্যে অভিনেত্রী পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কুঁদঘাটের বাড়িতে যাচ্ছেন। ঐন্দ্রিলার পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। সব রকমের কর্তব্য পালন করছেন। তবে নিজের কোনও অনুভূতি প্রকাশ করছেন না। 

ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচীর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেতা সৌরভ দাস। এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সৌরভ জানিয়েছিলেন, ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী। শোকে কাতর অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরাও। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখবেন না সব্যসাচী। কারণ যে মানুষটার কথা শুনে লিখতে শুরু করেছিলেন তিনি, সেই ঐন্দ্রিলাই তো আর নেই। এরপর ধীরে ধীরে সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে সরতে দেখা গিয়েছে সব্যসাচীকে।

বন্ধ করুন