মে মাসে ‘জিয়ন কাঠি’র নায়িকা ঐন্দ্রিলা শর্মার ফুসফুসে বাসা বাঁধা ক্যানসারাস টিউমারটিকে নিখুঁত দক্ষতায় বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারপর বাড়ি ফিরে এসেছেন অভিনেত্রী। ব্যথা সারতে সময় লাগবে। বাড়ির মধ্যে একটু হাঁটা-চলা, হালকা এক্সারসাইজ আর পুরোপুরি বিশ্রাম নিয়েই সময় কাটছে তাঁর। আর সঙ্গে দেওয়ার জন্য ঐন্দ্রিলার বাবা-মায়ের পাশাপাশি প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী তো আছেনই। সব সময় চেষ্টা করেন নিজের ‘লেডি লাভ’-এর মুখে হাসি ফোটানোর।
ঐন্দ্রিলার সংগ্রাম, লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ‘বামা’ সব্যসাচী। ফের একবার মনের কথা লিখলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সঙ্গে ঐন্দ্রিলার ভক্তদের জানাতে ভুললেন না কেমন আছে বর্তমানে তাঁর শরীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ও ঐন্দ্রিলার একটা সাদা-কালো ছবি পোস্ট করেন সব্যসাচী। মজা করে লেখেন, ঐন্দ্রিলার মতে এই লকডাউনে অভিনেতার জীবন ‘মুদিখানা’ হয়ে গিয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিতে চাল-ডাল-তেল-আলু তুলে দিচ্ছেন তিনি ও তাঁর টিম। আর তাই সারাদিন কাজের ফাঁকে সেসব হিসেব কষতেই ব্যস্ত থাকেন। আর সেটা নিয়েই মজা করেন ঐন্দ্রিলা। আবশ্য সঙ্গে বিছানায় শুয়েই সমস্ত দিকে কড়া নজর রাখেন। সব জায়গায় খাবার সামগ্রী পৌঁছল কি না, কত দূর আছে টিম, সমস্তটাই থাকে অভিনেত্রীর নখদর্পণে।
আর কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা। সব্যসাচী জানিয়েছেন, ‘পেনকিলার ছাড়া এখনো মারাত্মক যন্ত্রনা হয়, ডাক্তার বলেছেন প্রায় এক বছর লাগবে ব্যাথা নির্মূল হতে। নিজে নিজে শুতে পারে তবে তুলে বসিয়ে দিতে হয়। ডাক্তারের নির্দেশ মেনে হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে, ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ব্যায়াম করে। এই মাসের শেষ থেকে বাকি রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপি চলবে।’
তবে হাজারও ব্যস্ততার মাঝে, অসুস্থতার মাঝে, ‘মুদিখানার ঝাঁপ বন্ধ রেখে’ সাদা-কালো শহরে নিজেদের জন্য একান্তে কিছুটা সময় বের করে নেন তাঁরা। তারই একটুকরো ছবি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সব্যসাচী। সঙ্গে আশ্বাস, জলদি সব লড়াই জিতে ফিরবেন ঐন্দ্রিলা। আবার আগের মতো হবে জীবন।