স্বজনপোষণ ভীষণভাবে রয়েছে টলিউডেও। বিভিন্ন সময় এই অভিযোগ শোনা গিয়েছে একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর গলায়। তবে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ শতাব্দী রায়! প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হওয়ার পরও একাধিক ছবি থেকে তিনি বাদ পড়েছেন বলে মন্তব্য করলেন শতাব্দী। সম্প্রতি, এই সময় ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টলিউডে স্বজনপোষণ নিয়ে বলার পাশাপাশি টলিপাড়ার তিন সুপারস্টার প্রসেনজিৎ-চিরঞ্জিৎ-তাপস পালের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রসায়ন নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
সেই সাক্ষাৎকারে জোর গলায় শতাব্দী দাবি করেছেন কোনও এক নায়িকার সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক নায়কের, স্রেফ এই কারণেই বহু ছবি থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। এবং তাঁর বদলে সেই ছবিতে জায়গা করে নিয়েছে নায়কের সেই পছন্দের নায়িকা। অভিনেত্রীর কথায়, 'এটা আগেও ছিল, এখনও আছে, আগামী দিনেও থাকবে।' তবে তার পাশাপাশি তিনি জোর গলায় জানিয়েছেন সেই মুহূর্তে হয়তো তাঁর আক্ষেপ হয়েছে, অভিমান হয়েছে, কিন্তু সেটাকে পরবর্তী সময়ে কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। টলিপাড়ার একসময়ের এই প্রথম সারির নায়িকার কথায়, 'আর দেখুন এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। অঞ্জন চৌধুরী তাঁর মেয়েকে নিতেন, সুখেন দাস তাঁর মেয়েকে হিরোইন করেছিলেন। আজ আমি যদি শিল্পী হই, আমিও তো চাইব আমার ছেলে মেয়েরা প্রতিষ্ঠিত হোক।'
এবার তাঁর সময়কার প্রথম সারির টলিপাড়ার নায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্কের কথা উঠলে কোনও রাখঢাক না করেই মুখ খুললেন শতাব্দী। জানান প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিৎ এবং তাপস পালের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটের উপর ভালোই ছিল। কখনও কখনও ঝগড়া হয়েছে। আবার হয়ত এমনও হয়েছে যে এমনিতে কেউ কারও সঙ্গে কথা বলছি না তবু একসঙ্গে শ্যুটিং করেছেন। হালকা চালে শতাব্দী বলেন, 'প্রসেনজিতের সঙ্গেই এমনটা বেশি হতো। পরস্পরের কথা বলা বন্ধ অথচ একসঙ্গে ছবির শ্যুটিং করছি। ওদিকে চিরঞ্জিতদার সঙ্গে মাত্র একটি ছবি করাকালীন কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এর পরে কিছুদিন একসঙ্গে আর কাজ করিনি আমরা। ঐটুকুই। তবে হ্যাঁ, ওঁর সঙ্গে গল্প করে বেশ ভালো লাগে। আর তাপস পাল? নাহ, ওঁর সঙ্গে কখনওই কোনও সমস্যা হয়নি আমার।'