কদিন আগেই খবরে এসেছিলেন নিজের প্রতীক্ষা বাংলোটি নাকি মেয়ের নামে করে দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। বহু বছর ধরে মুম্বইতেই রয়েছেন শ্বেতা বচ্চন। বিয়ের পর স্বামী নিখিল নন্দার সঙ্গে দিল্লিতেই থাকতেন। শোনা যায়, স্বামীর ঘরে বনিবনা না হওয়ায়, এখন ঠিকানা বাপের বাড়ি। যদিও বচ্চন পরিবার কখনো এই নিয়ে খোলেননি মুখ। তবে নিখিলকে খুব একটা দেখা যায় না আর বচ্চন পরিবারের কোনও অনুষ্ঠানে।
কদিন আগে মেয়ে নভ্যা নভেলি নন্দার পডকাস্টে এসে শ্বেতা বচ্চন ভাগ করে নেন, বিয়ের পরে তিনি একটি কিন্ডারগার্টেনে সহকারী শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন। সেই সময় রোজগার করেছিলেন মাস গেলে মাত্র ৩০০০। সেই সময় অনেক আর্থিক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয় বলেও জানান শ্বেতা।
আরও পড়ুন: ইউটিউব থেকে আয় লাখখানেক! তাও BJP-র টাকায় ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ, জবাব বং গাই-এর
কে শ্বেতার স্বামী নিখিল নন্দা?
এসকর্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নিখিল নন্দা। যা দেশের একটি বিশিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম। ২০১৮ সাল থেকে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন। দেরাদুনের মর্যাদাপূর্ণ দুন স্কুলে পড়াশোনা করেন নিখিল এবং পরে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ার্টন স্কুল থেকে শিক্ষা লাভ। ঋষি কাপুর, রণধীর কাপুর এবং রাজীব কাপুর তাঁর মামা। আর রণবীর কাপুর, করিশ্মা-করিনারা তাঁর মামাতো ভাইবোন।
আরও পড়ুন: ১ সপ্তাহে মাত্র ৭৫ লাখ আয় মির্জার! ‘পজিটিভ রিভিউর জন্য টাকা চায় ইউটিউবাররা’, দাবি অঙ্কুশের
বলে রাখা ভালো, একসময় করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল অভিষেক বচ্চনের। দুজনের এনগেজমেন্টও হয়ে যায়। পরে বিয়ে ভেঙে যায়। অভিষেক বিয়ে করেন ঐশ্বর্যকে। যদিও ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে সেভাবে বনিবনা নেই শ্বেতার বলেই শোনা যায় পারিবারিক সূত্রে। জয়া আর শ্বেতাকে এড়িয়েই চলেন রাই সুন্দরী।
আরও পড়ুন: মায়ের বান্ধবীকে বিয়ে বিরসার! পুলে খালি গায়ে বউকে জড়িয়ে লিখলেন, ‘বুকে বিদিপ্তা’
মা-বাবা বা ভাইয়ের দেখানো পথ অনুসরণ করে গ্ল্যামারের দুনিয়ায় পা রাখেননি শ্বেতা। ২০১৮ সালে শ্বেতা তার উপন্যাস 'প্যারাডাইস টাওয়ারস' দিয়ে লেখার জগতে প্রবেশ করেন। যাইহোক, সাহিত্য জগতে তার পথচলা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে এবং বইটি নিয়ে নেতিবাচক পর্যালোচনা এসেছিল পাঠকমহল থকে। যা নিয়ে মেয়ের পডকাস্টে শ্বেতা বলেছিলেন যে, এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে তার যথেষ্ট সময় লেগেছে। তিনি শেয়ার করেছেন যে তিনি শেষ পর্যন্ত তার লেখার প্রচেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছেন।