রাজনীতির মঞ্চে নিজের পরিচয় গড়ে নিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। তবে এখনও কিউকি সাস ভি কভি বহু থি-র তুলসী হিসেবে রয়ে গিয়েছেন বহু দর্শকের মনেই। সম্প্রতি এক পডকাস্টে তাঁকে এই শো নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। অভিনেতা হিসেবে তাঁর জার্নি, কিউকি থেকে বাদ পড়া, উঠে আসে অনেক কিছুই।
বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল একতারই বলা একটি কথার প্রসঙ্গে। বলেছিলেন, ‘ও দরজা খুলেছিলেন আর ভারত হেঁটে এসেছে।’ আর তা নিয়েই কটাক্ষ করে স্মৃতি বলেন, মজার ব্যাপার হল ওরা পরে দরজা খোলার মানুষটাকেই বদলে দেয়।
স্মৃতির কথায়, ‘কিছু লোক আসলে ভেবে নিয়েছিল ও দরজা খুললে যদি গোটা ভারত দেখে, তাহলে অন্য কেউ দরজা খুললেও দেখবে।’ স্মৃতি এরপর আরও বলেন, সেইসময় অনেকের সঙ্গেই ঘটেছিল এমনটা। আসলে কিছু মানুষের কাউকে সাফল্য পেতে দেখলেই মনে মনে ভেবে নিত, সাফল্যের জন্য আপনার কোনও ভূমিকাই নেই।
প্রাক্তন অভিনেত্রী, বর্তমান রাজনীতিবিদ স্মৃতি জানিয়েছিলেন, বাচ্চা প্রসব করার ৩ দিন পরেই কাজে ফিরেছিলেন। যার কারণ নিয়ে ফের একবার মুখ খোলেন। ‘কারণ আমি গরীব ছিলাম। আর গরীব মানুষেরা টাকা রোজগারের কোনও সুযোগই হারাতে চায় না। আমার মতো রোজের আয়ের উপর ভিত্তি করে থাকা মানুষকে আপনি যদি বলেন, কাজ হঠাৎ করে বন্ধ করতে, তার হার্ট অ্যাটাক আসবে। আমরা ক্ষেত্রেও তো তাই-ই। দারিদ্র্যের একটা নিজস্ব চাপ থাকে।’
তুলসীর চরিত্রের ব্যাপারে স্মৃতি বলেন, ‘আমি মনে করি দর্শকদের সঙ্গে একটা গভীর সম্পর্ক আছে। তাঁরাও এই জার্নির বড় একটা অংশ। শুধুমাত্র আমার সাফল্যের পিছনে আমার হাত নেই। আমি শুধু চেষ্টা করেছিলাম যে যাতে গোটা দেশের মানুষ আমার সঙ্গে একাত্ম হতে পারে ও আমার এই জার্নির একটা অংশ হয়।’
স্মৃতি জানান অনেকেই তাঁর সঙ্গে সেইসময় দেখা হওয়ার পর তাঁকে বলত, সিরিয়ালে আপনাকে যেমনটা দেখি আপনি সেরকমই! বিজেপি-নেত্রীর মতে, এটা তাঁর অনেক ভাবনাচিন্তা করে নেওয়া সিদ্ধান্তই ছিল। চরিত্রের সঙ্গে বাস্তব জীবনের সামঞ্জস্য রাখতে চেয়েছিলেন। নিজে বাস্তবে যেমন, তার কাছাকাছি একটি রোলেই অভিনয় করতে চেয়েছি্লেন। যাতে হঠাৎ কোনও ভক্তের সঙ্গে দেখা হলে সে যেন কোনওভাবেই অবহাক না হয়ে যায়।
কিঁউ কি থেকে পাওয়া তাঁর সবচেয়ে বড় পাওনা কী জানতে চাওয়া হলে স্মৃতির থেকে জবাব আসে, ‘দর্শকদের ভালোবাসা যা আমি ৩-৪ প্রজন্ম ধরে পেয়ে আসছি। আর এই ধারাবাহিকের টেকনিশিয়ান, ক্রু দের সঙ্গে সম্পর্ক।’