আর ১০ দিন। তারপরই বড় পর্দায় আসছে বাঘা যতীন ছবিটি। এই ছবিটার তুমুল প্রচার চালাচ্ছেন এখন দেব এবং তাঁর টিম। সদ্যই মুক্তি পেয়েছে বাঘা যতীন ছবির গান ‘জাগো রে বাঘা’। এই গানটি গেয়েছেন সারেগামাপা খ্যাত স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক এবং ইমন চক্রবর্তী। HT বাংলাকে বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা জানালেন গায়ক।
দেবের ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ, অভিজ্ঞতা কেমন?
স্নিগ্ধজিৎ: দেবদা আমার অনুপ্রেরণা। আমায় অনেকেই অনুপ্রেরণা দেন, তাঁদের অন্যতম হলেন দেবদা। বাংলার ছবির যে ট্রান্সফরমেশন আমরা দেখেছি সেটা কিন্তু শুরু হয় দেবদার ‘চ্যালেঞ্জ’ ছবি দিয়ে। গান বলুন বা সিকোয়েন্স সবটার বদল আসে এই ছবির পর। আর সেই ‘চ্যালেঞ্জ’ থেকে ‘বাঘা যতীন’- উনি নিজেকে এতবার ভেঙেছেন, নিজেকে নিয়ে এত এক্সপেরিমেন্ট করেছেন যে সেটা শেখার মতো। খুব অনুপ্রাণিত হয়েছি আমি। সবসময় ভাবতাম আমি যদি কখনও ওঁর ছবিতে প্লেব্যাক করার সুযোগ পাই, আমি গাইব আর সেটার চিত্রায়ন হবে দেবদার উপর। অবশেষে সেটা এই ছবিতে সত্যি হল। এটা আমার জন্য ড্রিম কাম ট্রু মোমেন্ট। যখন জানতে পারি আমি গানটা গাইব তখন থেকেই খুব এক্সাইটেড ছিলাম।
বাঘা যতীন মতো ছবির অংশ, এটা নিয়ে কোনও বিশেষ অভিজ্ঞতা, বা অনুভূতি?
স্নিগ্ধজিৎ: অবশ্যই। অবাঙালি বিপ্লবীদের নিয়ে বহু ছবি হয়েছে। কিন্তু একজন বাঙালি বিপ্লবীকে নিয়ে এত বড় ভাবে ছবি এই প্রথম। এবার গোটা বাংলা জানবে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা। দেবদা এবং তাঁর টিমের এই উদ্যোগ যে ছবিটা প্যান ইন্ডিয়া রিলিজ করবে সেটা সত্যি প্রসংশনীয়। বাঘা যতীন বাঙালির আবেগ, তার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমি গর্বিত।
সুযোগটা এল কীভাবে?
স্নিগ্ধজিৎ: নীলদা অর্থাৎ এই ছবির সঙ্গীত পরিচালক নীলায়ন চট্টোপাধ্যায় আমার দাদার মতো। ভীষণই গুণী। উনি এবং ওঁর টিম আমায় খুব সাহায্য করেছে। উনি আমায় বলেন এই ছবির প্রতিটা গান জরুরি, কিন্তু আমি যেটা গাইলাম সেটা সব থেকে বেশি জরুরি। ফলে আলাদা একটা উন্মাদনা তো ছিলই।
আরও পড়ুন: 'জনসংযোগ হারাচ্ছে বাংলা ছবি', কেন এমনটা মনে করেন ‘আজকের সাজাহান’-এর সুব্রত ওরফে ঋদ্ধি
আরও পড়ুন: 'চ্যালেঞ্জিং চরিত্র পেয়েছি, কিন্তু তবুও…' দেবলীনার দীর্ঘ কেরিয়ারে হাতে গোনা কয়েকটি লিড রোল, কেন?
কাজ করতে গিয়ে কোনও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা?
স্নিগ্ধজিৎ: দেখুন, এটা আমি চাইলে লুকাতেই পারতাম, কিন্তু বলছি। আমি যখন প্রথমবার গানটা রেকর্ড করি আমার মনে হয়েছিল আমার সেরাট আমি দিতে পারিনি। একদম তৃপ্তি হয়নি। আমি তখন নীলদাকে জানাই সুযোগ থাকলে আমি গানটা আবার রেকর্ড করতে চাই। তখন উনি এবং ওঁর টিম আমায় সব রকম সাহায্য করে। আমি আবার গাই। তারপর গানটা দেবদা, নীলদা সহ সবার ভালো লাগে। এখন তো রিলিজ করে গিয়েছে গানটা। আর ইমনদির সঙ্গে গাইতে পারাটাও একটা বড় পাওনা।
ইউটিউবে তো ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে ‘জাগো রে বাঘা’
স্নিগ্ধজিৎ: তাই? আমি না এসব একদম দেখি না। তবে আমি জানি ‘বাঘা যতীন’ ছবিটা, এটার গানগুলো বহুদিন পর্যন্ত মানুষের মনে থেকে যাবে। গোটা ছবি, তার গান একটা টিম এফোর্ট। এটা সবার জন্যই হয়েছে। আর তাছাড়া....
কী?
স্নিগ্ধজিৎ: এই ছবির আরও একটা বড় ব্যাপার হল ‘বাঘা যতীন’-এর একটা গানের বাংলা ভার্সন গেয়েছেন অরিজিৎ দা। আর হিন্দি ভার্সন গেয়েছেন লেজেন্ড সোনু নিগম। ফলে বুঝতেই পারছেন এমন শিল্পীদের সঙ্গে এক অ্যালবামে নিজের নাম দেখতে পারা কতটা গর্বের। এই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার সত্যি দারুণ।