বাড়িতে যতই মা-মেয়ে হন না কেন, একসঙ্গে কাজের সময়ে পরস্পরের সহ-অভিনেত্রী তাঁরা। শর্মিলা ঠাকুর এবং সোহা আলি খান। মায়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো নয়। বরং তাকে ‘ভয়ঙ্কর’ই বলা যায়। হালে এক সাক্ষাৎকারে এমনই বলেছেন সোহা।
কী এমন ঘটেছিল, যার জন্য এমন কথা বলেছেন অভিনেত্রী?
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সোহা জানিয়েছেন, দু’জনে একসঙ্গে ‘লাইফ গোজ অন’ নামক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ২০০৯ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। ছবিতেও তাঁরা মা এবং মেয়ে। শর্মিলার নাম মঞ্জু। আর সোহার নাম দিয়া।
কিন্তু অভিজ্ঞতা এত ‘ভয়ঙ্কর’ কেন? সোহা বলেছেন, ‘মায়ের স্ট্যান্ডার্ড বড্ড হাই!’ ওই সিনেমাটি ছাড়াও দু’জনে একসঙ্গে বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। সোহার কথায়, ‘কস্টিউম ডিজাইন থেকে জুতো বাছাই— মা সব কাজ দু’সপ্তাহ আগে থেকেই করে রাখে। আমার সেখানে শেষ মুহূর্তে। তাও তার মধ্যে ডাল বা অন্য কিছুর দাগ থাকতে পারে। সেগুলি নিয়েও আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই।’ মায়ের এই নিয়মানুবর্তিতা দেখেই সোহার মনে হয়েছে, শর্মিলার সঙ্গে কাজ করাটা খুব চাপের।
তবে মায়ের থেকে পরামর্শও নিতে গিয়েছেন তিনি। ‘রং দে বসন্তি’ ছবির আগে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এমন চরিত্রে অভিনয় করতে হলে, তিনি কী করবেন? যদিও প্রশ্ন করে বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ শর্মিলা নাকি বলেছিলেন, পরিচালকই হচ্ছেন একমাত্র ব্যক্তি যাঁর কথা শুনবে। ‘রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা সেই মানুষ। তিনি যা বলবেন, তাই করবে’। এই ছিল শর্মিলার মত। এমনই বলেছেন সোহা।