সম্প্রতি দাদাগিরিতে এসেছিলেন নানা বয়সের দম্পতিরা। আর তাঁদের বিবাহিত জীবনের গল্প বেশ রসিয়ে রসিয়ে শুনতে দেখা গেল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সৌরভ পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘৪০ বছরের বিবাহিত জীবন। রোজকার সংসারে স্বদেশবাবু হচ্ছে লিডার। এই যে নতুন সব দম্পতি, এদের জন্য আপনার কী পরামর্শ।’
তাতে ষাটোর্ধ স্বদেশ জানালেন, ‘গুণতিতে ৪০ বছর হলে কী হবে, আমার তো মনে হচ্ছে এই সেদিনের সংসার আমার। লক ডাউনের পর থেকে শুরু। এতদিন তো চাকরির জন্য বাইরেই থাকতাম। করোনার পর থেকে সংসার শুরু।’
আরও পড়ুন: অমিতাভ-কন্যার এত আর্থিক সমস্যা! বিয়ের পর ৩ হাজার টাকা পেতে একাজ করেন শ্বেতা বচ্চন
তাতে সৌরভ প্রশ্ন করেন, ‘আপনার সঙ্গে ম্যাডাম ট্রাভেল করতেন না?’ তাতে ওই দম্পতি জানান, মেয়ের পড়াশোনার জন্য স্বদেশবাবুর স্ত্রী প্রথমদিকে সঙ্গ দিতে পারতেন না স্বামীকে। যদিও মেয়ের পড়াশোনা শেষ হলে, তিনিও যেতেন মাঝেমাঝে। বর্তমানে তাঁদের মেয়ে কাজ করছে মুম্বইতে। বৈজ্ঞানিক তিনি পেশায়। ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে কাজ করেন।
দুজনের আলাপ কীভাবে সেটাও খোলসা করলেন সৌরভের প্রশ্নে। স্বদেশবাবু জানালেন, ‘আলাপ আমার না। আমার বাবা ডাকলেন। বললেন, আমি পছন্দ করে দিয়েছি। এখানে তোমাকে বিয়ে করতে হবে। যাও একবার দেখে এসো। তখন হত টুকটাক প্রেম। আমার বন্ধুরা করেছে। তবে আমার পরিবার খুব গোঁড়া ছিল। বাবা কাস্টমসে চাকরি করতেন, খুব কড়া ধাতের মানুষ।’
এরপর তিনি আরও জানান, ‘বাড়ির কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি ওকে জিজ্ঞেস করি। আর তাতে ও বলবে, তুমি যা ভালো বুঝবে করো। তারপর কোনও ভুল হলে, আমাকেই দোষ দেবে।’
এতে হাসি ছড়িয়ে পড়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। যেন মিল পেয়েছেন কোনও নিজের সঙ্গেও। বলে উঠলেন, ‘এই দোষের কিন্তু আলাদাই মজা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইউটিউব থেকে আয় লাখখানেক! তাও BJP-র টাকায় ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ, জবাব বং গাই-এর
এরপর সেটে থাকা বাদবাকি দম্পতিরাও জানালেন, বাড়ির সব সিদ্ধান্ত স্বামীরাই নিয়ে থাকেন। শুধু হাত নেড়ে না করে দিলেন, সৌরসেনীর মা-বাবা শঙ্খ আর শর্মিষ্ঠা।
আরও পড়ুন: ১ সপ্তাহে মাত্র ৭৫ লাখ আয় মির্জার! ‘পজিটিভ রিভিউর জন্য টাকা চায় ইউটিউবাররা’, দাবি অঙ্কুশের
আপাতত দাদাগিরির দশম সিজন নিয়ে বড়ই ব্যস্ত রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। চলতি বছরে ফ্লোরে যাওয়ার কথা আছে মহারাজের বায়োপিকও। যাতে দাদার চরিত্রে থাকার কথা আয়ুষ্মান খুরানার।