মলদ্বীপে ছুটি কাটিয়ে দিন কয়েক আগেই কলকাতায় ফিরেছেন শ্রাবন্তী। নায়িকার সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘অচেনা উত্তম’ বক্স অফিসে সেভাবে দাগ কাটেনি। কিন্তু তাতে কী সুন্দরী শ্রাবন্তী ঝড় তুলছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মলদ্বীপের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি নায়িকা। তাই তো ফোনের গ্যালারি ঘেঁটে একের পর এক ছবি পোস্ট করে চলেছেন।
মলদ্বীপের সাগর পাড়ে সাদা বালির উপর গা এলিয়ে শুয়ে রয়েছেন শ্রাবন্তী। হলুদ রঙের শর্ট ড্রেসের ফাঁক দিয়ে সুপষ্ট শ্রাবন্তীর পেলব তনু! উন্মুক্ত থাইে মাখামাখি মলদ্বীপের সাদা বালি। নায়িকার চোখে রোদচশমা,খোলা চুল। শ্রাবন্তীর এমন সুপারহট অবতার কার্যত আগুন জ্বালাচ্ছে নেটমাধ্যমে।
শ্রাবন্তীর এই রূপসাগরে ডুব দিয়েছেন টলি তারকারাও। কমেন্ট বক্সে অঙ্কুশ লিখেছে, ‘ওরে পাগলা গিন্টু’। মিমি চক্রবর্তী আগুনের ইমোজিতে ভরিয়ে দিয়েছেন। ছবিতে শ্রাবন্তীকে দারুণ হট লাগছে তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলবার নেই।
বালুকাবেলায় ঝিনুক কুড়োনোর বদলে খোলামেলা পোশাকে নিজেকে মেলে ধরেছেন শ্রাবন্তী। নায়িকার ধবধবে শরীরে কখনও ফুটে উঠেছে মনোবিকিনি, কখনও আবার ম্যাক্সি ড্রেস।
কে বলবে তাঁর বয়স ৩৬! যৌবন রসে সিক্ত শ্রাবন্তীর এই ছবিগুলি দেখে ঘুম উড়ছে নেটপাড়ার। তাঁর মুক্তো ঝরা হাসি, মাখন ত্বক আর গ্ল্যামারাস লুক দেখে ধুকপুকানি বাড়ছেন নেটাপাড়ার।
শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই থাকে চর্চায়। কিন্তু সেই নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই তাঁর। জীবনটা নিজের শর্তে বাঁচেন শ্রাবন্তী। আসলে তৃতীয় স্বামী রোশনের সঙ্গে শ্রাবন্তীর বিচ্ছেদ মামলা কোর্টে বিচারাধীন। তবে ঘর ভাঙতে না ভাঙতেই নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন নায়িকা এমনই গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছে প্রেমিক অভিরূপের সঙ্গেই মলদ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। শহরের বাইরে হোক বা অন্দরে, এখন অভিরূপের সঙ্গে হামেশাই হ্যাং আউট করতে দেখা শ্রাবন্তীকে।
ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, এইবার নিজের সম্পর্ক নিয়ে একটু বেশিই সাবধানী শ্রাবন্তী। হুট করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না ঠিক করেছেন নায়িকা। আপতত নিজের কেরিয়ারে ফোকাস করতে চান, পাশাপাশি মনের মতো করে নিজের একমাত্র ছেলে অভিমন্যু (ঝিনুক)-কে মানুষ করতে চান। ছেলের ইচ্ছে সেও শোবিজ দুনিয়াতেই পা রাখবে। তবে অভিনেতা নয়, শ্রাবন্তীর হ্যান্ডসাম ছেলে যায় বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করে পরিচালক হিসাবে কাজ করতে। ঝিনুকের সব সিদ্ধান্তে পাশে রয়েছেন শ্রাবন্তী। প্রসঙ্গত, শ্রাবন্তী ও তাঁর প্রথম স্বামী রাজীব কুমারের একমাত্র সন্তান অভিমন্যু।