ভারতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রাক্তন পর্নস্টার মিয়া খলিফা থেকে শুরু করে পপস্টার রিহানাসহ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের টুইটে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। আন্তর্জাতিকমহলে বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে ভারত। বুধবার ভারতের কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে প্রথম টুইট করেন প্রাক্তন পর্নস্টার মিয়া খলিফা। এরপর থেকেই কেন্দ্রের ক্ষমতাশালী দল বিজেপির সমর্থকদের রোষের মুখে এই মার্কিন-লেবানিজ মডেল ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার।
পথে নেমে মিয়া খলিফার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া সমর্থকদের। সেই ছবি সমাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হতেই নজরে আসে মিয়ার। সেই ছবি টুইট করে মিয়ার বক্তব্য ‘আমি নিশ্চিত আমার হুঁশ ফিরে এসেছে, অপ্রয়োজনীয় হলেও আপনাদের উদ্বেগের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তবে এখনও কৃষকদের পাশেই আছি’। সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দুটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে অনেকে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিয়া খালিফা সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক তারকাদের কটাক্ষ করছেন, যাতে ইংরাজি ও হিন্দিতে লেখা রয়েছে: ‘মিয়া খালিফা সচেতন হও’। হিন্দি লাইন ‘হোঁশ মে আও’-কে গুগল ট্রান্সলেট করলে ‘come to your sense’ এর জায়গায় ‘regains consciousness’ দেখাবে। সেটিই প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে। এই খারাব ইংরাজি তর্জমা নজর এড়ায়নি মিয়ার।
ভারতে কৃষকদের সমর্থনের জন্য একদল খ্যাত আন্তর্জাতিক তারকারা সরব হন। তাঁদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড হিন্দু ফ্রন্ট বলে একটি সংগঠন মার্কিন পপ তারকা রিহানা, পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ সহ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের স্লোগান তোলা এবং কুশপুতুল দাহ্য করা হয়।
বুধবার টুইটারের দেওয়ালে কৃষিবিলের বিরোধীতায় বসা মহিলাদের ছবি পোস্ট করে একটি বিস্ফোরক ক্যাপশন জুড়ে দেন মিয়া। তাঁর মতে, ভারতের রাজধানীতে ২৬ শে জানুয়ারি যা ঘটেছে তা মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে। তিনি লেখেন, ‘ কী ঘটছে? এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? ওরা নয়া দিল্লিতে ইন্টারনেট পরিষেবাই বন্ধ করে দিয়েছে'। মিয়া যে ছবিটি এই টুইটের সঙ্গে পোস্ট করেন, সেখানে এক বর্ষীয়ান মহিলা প্ল্যাকার্ড হাতে ধরে আছেন। সেখানে লেখা- কৃষক হত্যা বন্ধ করুন।
মাত্র তিন মাস মিয়া খালিফা পর্ন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে নীল ছবির দুনিয়ায় কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। মাত্র তিন মাসে ১১টি অ্যাডাল্ট ছবিতে অভিনয় করে সাড়া ফেলেছিলেন মিয়া। ২০১৫ সালের শুরুতেই হিজাব পরে একটি অ্যাডাল্ট ছবিতে অভিনয় করলে কট্টরপন্থীদের রোষের মুখে পড়েন মিয়া, তাঁকে দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি। এরপর নীল ছবির দুনিয়াকে চিরতরে বিদায় জানান এই মার্কিন-লেবানিজ তারকা। তবে অ্যাডাল্ট ছবি প্রেমীদের মনে তাঁর জনপ্রিয়তা একটুকুও কমেনি। আপতত ক্রীড়াউপস্থাপক হিসাবে চুটিয়ে কাজ করছেন মিয়া।