জি বাংলার গেম শো ‘দিদি নম্বর ১’ বরাবরই তুলে ধরে লড়াকু মানুষদের গল্প। সোমবার সেখানে সুন্দরবন থেকে এসেছিলেন সুন্দরবনে জ্যোৎস্না। যে বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচিয়ে এনেছে নিজের স্বামীকে। স্বামীকে বাঁচাতে একবারও ভাবেননি। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে সেই মহিলার লড়াই করার গল্প শুনে অবাক হয়েছেন রচনাও।
সুন্দরবনের জ্যোৎস্নাকে বলতে শোনা গিয়েছে, বাঘটা লাফ দিয়ে তাঁর স্বামীর ডান কাঁধের ওপর বসে। আর জ্যোৎস্নাও লাফ দিয়ে চলে যায় পিছনে। আঙুল বাঘের কানের ভিতর ঢুকিয়ে জোর করে টেনে এনেছেন। জ্যোৎস্নার কথায়, ‘আমি ভেবেছি মরতে হলে দু'জনেই মরব’! অসম সাহসী এই মহিলার লড়াইয়ের গল্প শুনে স্তব্ধ হয়ে যান শো-র হোস্ট রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
চ্যানেলের তরফ থেকে এই প্রোমো শেয়ার করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে চলতে থাকে একাধিক মিম। ভিডিওয় দেখা যায় জ্যোৎস্নার স্বামীর ডান হাত জামার মধ্যে নেই। তাই এনেকেই বলেন, কাটা হাতের মিথ্যে গল্প বানিয়ে দর্শককে বোকা বানানো হচ্ছে। কারণ, জামার তলা দিয়ে বেরিয়ে রয়েছে সই হাতটাই। যদিও, আসলে গল্প আলাদা। চ্যানেলের তরফ থেকে দাবি করা হয়নি হাত কাটা গিয়েছে। বরং, জ্যোৎস্না জানিয়েছেন তাঁর স্বামীর হাত অবশ হয়ে গিয়েছে।
জি বাংলার এই গেম শো ‘দিদি নম্বর ১’কে ট্রোল করতে গিয়ে, উল্টে নিজেই ট্রোলড হয়েছে ফেসবুকের ওই পেজ। মিমটি যে বা যাঁরা বানিয়েছেন, তাঁদের একহাত নিয়েছে নেটপাড়া। কমেন্টে সকলেই লিখেছেন, সুন্দরবনের খেটে খাওয়া মানুষদের নিয়ে যারা মস্করা করতে পারে, তাঁরা জঘন্য। ট্রোল করার জন্য, চারপাশে এনেক ধরনের ঘটনা আছে। সেগুলোতে নজর দেওয়া হলে সমাজের মঙ্গল।
অনেকেই মেনে নিয়েছেন, ‘দিদি নম্বর ১’-এ অনেকসময়েই অবাস্তব কথা বলতে শোনা যায় অংশগ্রহনকারীকে। তবে বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বঁচে থাকা সুন্দরবনের মানুষের রোজের সংগ্রাম। সেটা নিয়ে মিম না করাই ভালো।