২০২০ সালে প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২৩ সালে এসে দ্বিতীয় সন্তান আসার খবর সকলের সঙ্গে ভোগ করে নেন তিনি ও রাজ চক্রবর্তী। রাজ সেইসময় জানিয়েছিলেন, প্রথম থেকেই তাঁদের দুই সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে ছিল। ভেবে রেখেছিলেন দুই সন্তানের মধ্যে ফারাক রাখবেন ৩ বছরের।
ইউভানকে নিয়ে অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় পৃথিবীজুড়ে ছিল করোনা মহামারীর থাবা। লকডাউনের কারণে, ইনফেকশন ছড়ানোর ভয়ে বাড়ির বাইরে পা রাখাও মুশকিল ছিল। যদিও দ্বিতীয় সন্তান আসার সময় প্রেগন্যান্সির জার্নি শুভশ্রী উপভোগ করলেন চুটিয়ে। মাস দুই আগেই শেষ হয়েছে ডান্স বাংলা ডান্সের কাজ। ঘুরে এসেছেন পুরী, বালি থেকে। কাজের জন্য মুম্বইতেও যেতে হয়েছিল। এমনকী, দুর্গা পুজোর অঞ্জলি থেকে ঠাকুর বরণ, রাজ আর ইউভানকে সঙ্গে নিয়ে করেছেন সবটা। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতেও দেখা গিয়েছিল। আরও পড়ুন: ‘কালো’ বলে কটাক্ষ! ‘সবাই বলেছিল নায়িকা হতে পারবে না…’, ফের বিস্ফোরক শ্রুতি
এর আগে বলিউডে করিনা থেকে আলিয়ারা, প্রেগন্যান্সি নিয়ে কাজ করে প্রমাণ করেছিলেন, ‘এটি কোনও রোগ নয়’। টলিউডেও সেই পথ দেখালেন শুভশ্রী। যেখানে বেশিরভাগ মহিলাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ভাবেন বিশ্রাম নেওয়াই বুঝি ঠিক হবে, সেখানে একের পর এক কাজ করে গিয়েছেন রাজ-পত্নী। আরও পড়ুন: ‘ইন্ডাস্ট্রি সুবিচার দেয়নি, ভগবান দিয়েছে…’, গদর ২-এর সাফল্য ফের কাঁদাল সানিকে
বুধবার ইনস্টায় একটি ছবি শেয়ার করলেন তিনি। যেখানে দেখা গেল বসে আছেন আয়নার সামনে। চলছে মেকআপ। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘বাচ্চা আসার আগে হঠাৎ চলে এল শ্যুট।’
এরপর কমলা শর্ট ড্রেসে একটি ভিডিয়োও শেয়ার করে নিলেন। একটি চকোলেট কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে গিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে।
শুভশ্রীকে শেষ দেখা গিয়েছে ডক্টর বক্সী ও ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে। দুটি কাজই বিশেষ প্রশংসা পায়। ইন্দুবালা ছিল অভিনেত্রীর ওয়েবের দুনিয়ায় ডেবিউ। চলতি বছরে নিজের প্রযোজনা সংস্থাও খুলেছেন। যার থেকে মুক্তি পেয়েছিল আবার প্রলয়। প্রযোজনা করেছিলেন রাজ চক্রবর্তী।
কদিন আগেই খেয়েছেন নয় মাসের সাধ। সাদা ঢাকাই শাড়ি, লাল ব্লাউজ, সোনায় গয়না, সিঁথি ভরা সিঁদুর, কপালে লাল টিপে অসাধারণ লগছিল দেখতে। ডিসেম্বরেই আসবে রাজ-পরিবারে খুদে সদস্য। মাত্র তিন বছরেই প্রমোশন পাবে জুনিয়র চক্রবর্তী ইউভান।
শুভশ্রী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মায়ের খুব খেয়াল রেখেছে এই খুদে। বুঝত খেলার সময় মা নীচু হয়ে বল তুলতে পারবে না। রাজও খুব যত্ন নিয়েছে বউয়ের।