সোশ্যাল মিডিয়ায় পান থেকে চুন খসলেই সেলেবদের পড়তে হয় ট্রোলিংয়ের মুখে। খুব সতর্কভাবেই আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা উচিত। ফেসবুকে ভীষণ অ্যাক্টিভ ‘রান্নঘর’-এর রানি সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। দিন কয়েক জি বাংলার জনপ্রিয় শো-তে তাঁকে দেখা না যাওয়ায় হতাশ ভক্তরা। এর মাঝেই রবিবাসরীয় সকালে অঙ্কুশের সঙ্গে শ্যুটিং সেটের একটি ছবি পোস্ট করেন সুদীপা। সঙ্গে লেখেন ‘ব্রাদার ফ্রম অ্যানাদার মাদার’। সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে সুদীপার কাছে একটি সহজ প্রশ্ন রাখেন এক অনুগামী।
সুদীপার কাছে এক ভদ্রমহিলা জানতে চান, ‘শাড়িটা কি ঢাকাই? নেকলেসটা কি রুপোর?' এই সহজ-সরল প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিরাট কাণ্ড ঘটালেন সুদীপা। তিনি জবাবে লেখেন, আমি জানি না- বাংলা ভাষাটা আজকাল এত কঠিন হয়ে যাচ্ছে- কারো কারো কাছে, যে সহজ সরল বাংলা বা সামান্য ইংরাজি ভাষা বোঝেন না। বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যে যাচ্ছি, সে তো বোঝাই যাচ্ছে। কোভিড হয়তো জয় করে নেব। কিন্তু অশিক্ষা আর কুরুচি জয় করব কীভাবে? আমি লিখেছিলাম আমি ফেক জুলেয়ারি পরি না, সেটা সোনার হোক আর রুপোর। হে ভগবান! মানুষজন খুব অশিক্ষিত হয়ে উঠেছে। একটু শান্তিতে বাঁচুন'।
সুদীপার এই জবাব দেখেই রে রে করে উঠেন নেটিজেনরা। তাঁকে অনেকেই মনে করিয়ে দেন ‘সেলিব্রিটি হওয়া মানে অন্যের মাথা কিনে নেওয়া নয়, সবাইকে সম্মান করতে জানতে হয়’। কেউ কেউ আবার এই কমেন্টের নীচে সুদীপাকে স্মরণ করিয়ে দেন, ভুল Wear (Ware লিখেছিলেন সুদীপা) বানান লিখে উনি নিজেই প্রমাণ করে দিয়েছেন আদতে কে অশিক্ষিত।
সুদীপার এহেন ব্যবহার মোটেই ভালোভাবে মেনে নেননি নেটিজেনরা। রাখি ঘোষ নামের ওই জনৈকর পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্যরা। সুদীপার উদ্দেশে একজনের বার্তা, ‘আপনার এতো টাকার গরম কেন? মানুষকে মানুষ বলে মনে করেন না?’ অনেকেই সুদীপার দ্রুত সুস্থতা পর্যন্ত কামনা করেছেন। তবে সঞ্চালিকা সাফাই দিয়ে বলেন তিনি মোটেই রাখি রায়কে ওইভাবে কথাগুলো বলতে যাননি। ভুলবশত অন্য ট্রোলারকে জবাব দিতে গিয়ে রাখি ঘোষকে এই জবাব দিয়ে ফেলেছেন। রাখি ঘোষের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
রাখি ঘোষ সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কে ক্ষমা করেছেন কিনা জানা নেই, তবে সুদীপার এই কীর্তিতে বেজায় ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। অনেকেই কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, 'এমন বদমেজাজি, নাক-উঁচু সেলেব্রিটিকে ফলো না করাই মঙ্গল। এঁরা আসলে ভুলে যায় মানুষই এদের স্টার বানিয়েছে'।