শাশুড়ি স্মিতাকে নিয়ে কী বললেন সুদীপ্তা?
সম্প্রতি বাংলা ধারাবাহিকের অভিনেত্রীদের নিয়ে জমে উঠেছিল দাদাগিরির আসর। হাজির ছিলেন দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়, সন্দীপ্তা সেন, সুদীপ্তা বক্সীরা। খেলার ফাঁকে ফাঁকে সৌরভের সঙ্গে বেশ জমে উঠেছিল গল্পের আসর।
এরকমই এক সময় সুদীপ্তার বরের পরিচয় জেনে প্রথমে একটু অবাকই হন দাদা। সোহাগ জল-এর ভিলেন বলেন, তাঁর বরের নাম সৌম্য, তৃণমূলের স্মিতা বক্সী ও সঞ্জয় বক্সীর সন্তান। আর তারপরই গুগলি সৌরভের। প্রশ্ন করে বসেন, ‘শাশুড়ি কি তাহলে ভিলেন বউমাকে?’
সুদীপ্তার জবাব, ‘একদমই না। প্রথমে যখন আমার সঙ্গে ওঁর আলাপ ভেবেছিলাম আমাকে বোধহয় উনি পছন্দ করেন না। কিন্তু বিয়ের পর বুঝলাম আমার আর নিজের মেয়ের মধ্যে কোনও ফারাক করেন না। আমরা দুজনেই বাড়ির মেয়ে।’
চলতি বছরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। মে মাসে চার হাত এক হয়। বিয়ের পর থেকেই পদবি পালটে বক্সী করে নিয়েছেন। স্বামীর সঙ্গে রোম্যান্টিক ভিডিয়ো-রিলস শেয়ার করে থাকেন সামাজিক মাধ্যমে। আর তা বেশ পছন্দও করেন নেট-নাগরিকরা। ভালোবেসে ‘রাজযোটক’, ‘পাওয়ার কাপল’ কতই না নাম দেওয়া হয়েছে।
কদিন আগেই হানিমুন সেরে আসলেন ইউরোপ থেকে। সেখান থেকে আইফেল টাওয়ারের সামনে তাঁদের ঠোঁটে ঠোঁট রাখার ছবি মন জয় করে নিয়েছিল সকলের। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আমি জানতাম কোনও না কোনও ভালো সেই মুহূর্ত থেকে আমি যত পদক্ষেপ নিয়েছি, সেগুলো আদতে ছিল তোমাকে খুঁজে নেওয়ার প্রচেষ্টা’।
দীর্ঘ চার বছরের সম্পর্ক দুজনের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মাসেই বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন অভিনেত্রী। শাশুড়ি-শ্বশুর-ননদকে নিয়ে ভরা সংসার।
বিয়ের পরও তাঁর মুখে ছিল শ্বশুরবাড়িরর গুণগান। সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমার কাছে বাড়িটা নতুন নয়। তিন বছর ধরে যাতায়াত করছি। সবাই খুব ভাল। তবে আমারও দায়দায়িত্ব রয়েছে তাঁদের প্রতি। সুন্দর একটা নোয়া দিয়েছেন শাশুড়ি। তবে এই বাড়িতে ঢোকার পর থেকেই শুধু উপহার পেয়ে যাচ্ছি।’
বিয়ে নিয়ে সৌরভ এদিন পিছনে লাগেন সন্দীপ্তারও। তাঁর হবু বরের নামও সৌম্য, হইচই-এ উচ্চপদে কাজ করেন। ডিসেম্বরেই হবে শুভকাজ। ডায়েরিতে কিছু লিখে দিতে বলেন তিনি সৌরভকে। আর তাতে দাদা সৌম্যর উদ্দেশে লিখে দেন ‘বউকে কন্ট্রোলে রাখবে’। এরপর সন্দীপ্তা বলে ওঠেন, ‘কেউ কাউকে কন্ট্রোলে রাখবে না’। অবশ্য সলজ্জ ভঙ্গিতে দাদাকে নিজের বিয়েতে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন সন্দীপ্তা।